ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যৌথ প্রযোজনায় অনেক কিছু এক্সচেঞ্জ হয় ॥ জিৎ

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ১৫ জুন ২০১৭

যৌথ প্রযোজনায় অনেক কিছু এক্সচেঞ্জ হয় ॥ জিৎ

কলকাতার সুপার স্টার জিৎ। দুই বাংলায়ই জনপ্রিয় এই নায়ক এবার ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় যৌথ প্রযোজনায় ‘বস ২’ চলচ্চিত্রের প্রচারে ঢাকায় এসেছিলেন। এই চলচ্চিত্রে জিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার শুভশ্রী এবং বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়া। চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ভারতের জিতস ফিল্মওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেড। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন কলকাতার নির্মাতা বাবা যাদব ও বাংলাদেশের আব্দুল আজিজ। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে মঙ্গলবার এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। চলচ্চিত্র নিয়ে প্রেস দ্য মিট অনুষ্ঠানে জিতের সঙ্গে কথোপকথনের অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো। ‘দর্শক বস ২’ কেন দেখবে ? জিৎ: একটা নতুন গল্প। ‘বস’ যারা দেখেছে তারা সূর্যকে একজন গো গেটাপ হিসেবে দেখেছে। গ্রেট এ্যাটিচিউট তার এবং সেল্ফ কনফিডেন্ট ভীষণ। ‘বস-২’তে ও সেই ক্যারেক্টার ডিম্যান্ড আছে। এতে রয়েছে আননোন আনসিন থিঙ্কস, আমরা আগে কখনও যা দেখিনি। আমি মনে করি, এ ফিল্মের মধ্যে একটি গ্রেট থ্রিলার আছে। আগামীতে ‘বস ৩’ করার পরিকল্পনা আছে কি? জিৎ: এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আগে ‘বস ২’ উতরে নিই। ‘বস ১’ এর মতো ‘বস ২’ তে যুব সমাজকে উৎসাহিত করার কোন মেসেজ আছে? জিৎ: এটি কোন মেসেজ অরিটেকসিন সিনেমা নয়। এটা এন্টারটেইনিং সিনেমা। প্রতিটি মানুষের মধ্যে একটা বস আছে। এই বিশ্বাসটা যদি নিজেরা রাখে তাহলে জীবনের পথে এগুনোর সুবিধা হয়। এই ক্যারেক্টার সেই গল্পটাই বলছে। আরও একটু বড় স্কেলে, বড় ভাবনা-চিন্তা নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে সূর্য। ‘বস ২’ এ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র, এতে নাকী আপনি কোন ডাবিং ইউজ করেননি? জিৎ: আমি বিগত ১৫ বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্র্রিতে কাজ করছি। আপনাদের সকলের আশীর্বাদে আমার প্রথম থেকে অভ্যাস স্ক্রু শর্টগুলোতে ডাবিং না ইউজ করে নিজেই করি। সেই অভ্যেসটা এখনও আছে এবং আমার পাশাপাশি যখন ফারিয়া করেছে, দেখে তখন অবাক হয়েছিলাম। আমি আর ফারিয়া যখন একটা ১৬ তলা বিল্ডিং থেকে লাফাচ্ছিলাম তাকে তখন ভেরি কনফিডেন্ট স্টাডিংয়ে দেখলাম। পুরো গল্পটা মাথায় আসার কারণ জানতে চাইব। জিৎ: স্বপ্ন সবাই দেখে কিন্তু সেটার থেকেও লক্ষ্যটাকে দেখে পূরণ করার চেষ্টা করা উচিত। আমরা ‘বস’ সাফল্যের পরে একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। মানুষের কাছ থেকে একটা এ্যানাউন্সমেন্ট হয়েছিল ‘বস ২’ কবে আসবে। সেখান থেকে স্বপ্নটা একটা লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল। চিন্তা করলাম এটা তৈরি করব। তিন-চার বছর ধরে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি, চিন্তা-ভাবনা করেছিলাম। মানুষের প্রশ্ন বেড়ে যাচ্ছিল কবে আসবে ‘বস ২’। মনে হলো এখনই তৈরি করা উচিত। ২০১৫ সাল থেকে এটা নিয়ে আরও সময় কাটাতে শুরু করলাম এবং নিজেদের ডেভেলপ করতে শুরু করলাম। তার আগে আমরা চেষ্টা করেছিলাম বাইরে থেকে যদি কেউ এই স্টোরিটাকে ডেভেলপ করে ‘বস ২’ একটা সিক্যুয়াল তৈরি করে। যখন দেখলাম বাইরে থেকে কিছু হচ্ছে না নিজেরাই অফিসে বসে এটাকে ডেভেলপ করতে থাকলাম। পরবর্তীতে আজিজ ভাই এলো। চাহিদা বলব না, মানুষ ইন্টারটেইন হতে চায় ওটাকে মাথায় রেখে উনি আমাকে যৌথ প্রযোজনার প্রপোজাল দেন। তখন আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো আরও বেড়ে গেল। যৌথ প্রযোজনার অনেক কিছু বিট আপ করে সেভাবে এটাকে নিয়ে যাওয়া হলো। ফারিয়া, অমিত হাসানসহ অনেকের ক্যারেক্টার যুক্ত হলো। যাতে দুই বাংলা মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। গল্পটা ওইভাবে ডেভেলপ করে আলটিমেটলি এচিভ করা গিয়েছিল। ঈদ খুব কাছাকাছি, আমরা ওই লক্ষ্যটাতে পৌঁছতে পারছি। এর জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। ফারিয়ার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? জিৎ: যতটা সুন্দর ফারিয়া, কাজ করার অনুভূতিও তার থেকে অনেক বেশি সুন্দর ছিল। সি ইজ ওয়ান্ডারফুল কো এ্যাকট্রেজ। সি ইজ ভেরি ডিসিপ্লিন এ্যাজ এন এ্যাকট্রেজ। অনেক পরিশ্রমী। সে অনেক দূর যেতে পারবে। যৌথ প্রযোজনায় অনুভূতি কেমন? জিৎ: খুব ভালই। বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে ভালবাসা পেতে ভাল লাগে। যৌথ প্রযোজনায় ছবি করলে অনেক কিছু এক্সচেঞ্জ হয়। সংস্কৃতি বিনিময় হয়, একে অপরের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি হয়। -গৌতম পা-ে
×