ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডাকঘরের স্টোররুমে গৃহবধূর লাখ টাকা চুরি

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১৫ জুন ২০১৭

ডাকঘরের স্টোররুমে গৃহবধূর লাখ টাকা চুরি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১৪ জুন ॥ গোপালগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র কিনতে এসে রহস্যজনকভাবে পলি দাস নামের এক গৃহবধূর এক লাখ টাকা চুরি গেছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান ডাকঘরের ট্রেজারি রুম সংলগ্ন স্টোর রুমের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ পলি দাস গোপালগঞ্জ বিদ্যুত অফিসের (ওজিপাডিকো) কর্মচারী বরুণ দাসের স্ত্রী। ভুুক্তভোগী পলি দাস জানান, বেলা ১১টার দিকে তিনি ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক লি: গোপালগঞ্জ ব্রাঞ্চের নিজ এ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ টাকা উত্তোলন করে প্রধান ডাকঘরে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র কিনতে যান। সেখানে তিনি কাউন্টার থেকে নির্দিষ্ট ফরম নিয়ে ট্রেজারি রুমের দিকে যান। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় লাগোয়া স্টোররুমে আরও কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে অপেক্ষা করতে থাকেন। তখন ওই স্টোররুমের বৈদ্যুতিক বাতি নিভানো ছিল। এরপর আকস্মিকভাবে কেউ ওই রুমের বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে দিলে গরমের অজুহাতে তা আবার বন্ধ করতে বলেন সেখানে অপেক্ষারত কয়েকজন আমানতকারী। এরপর ট্রেজারির মধ্য থেকে পলি দাসকে টাকা জমা দিতে ডাকা হলে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন তার হাত ব্যাগের চেইন খোলা, ব্যাগের মধ্যে টাকা নেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি চোর সিন্ডিকেট পোস্ট-অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। তিনি বিষয়টির তদন্ত ও প্রতিকার দাবি করেন। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ প্রধান ডাকঘরের ট্রেজারার আবুল বাশার সম্রাট জানান, ট্রেজারি রুমের মধ্যে তিনি ও হেড পোস্টম্যান গুরুপদ বিশ্বাস সঞ্চয়কারীদের টাকা গণনায় ব্যস্ত ছিলেন। স্টোর রুমের মধ্যে এক বা দু’জনের বেশি মানুষের অপেক্ষা করার কথা নয়। কেবল যারা টাকা সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য সিরিয়ালে থাকবেন তারাই সেখানে অপেক্ষা করবেন। কিন্তু ওই সময় কেন এবং কারা ওই রুমের মধ্যে জটলা করছিলেন, সে বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। তবে, স্টোর রুমের বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ রাখার বিষয়ে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। পোস্ট-মাস্টার মোঃ নুরুল হক বলেন, প্রধান ডাকঘরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিশেষ করে এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্ট, ট্রেজারি-রুম ও স্টোর-রুমের সিসি ক্যামেরাগুলো গত তিন মাস ধরে কাজ করছে না। এজন্য পিএমজিকে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
×