ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর-মণিরামপুর সড়ক মরণফাঁদ

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৫ জুন ২০১৭

যশোর-মণিরামপুর সড়ক মরণফাঁদ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সামান্য বৃষ্টিতে পিচ্ছিল পিচ আর মহাসড়কের দুই পাশ নিচু হওয়ায় যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মণিরামপুরে মহাসড়কটিতে একের পর এক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে তো বাড়ছেই। গত ৬ মাসের ব্যবধানে প্রাণ হারিয়েছেন কলেজ ছাত্রীসহ সাতজন এবং আহত হয়েছে ২০০ জন। প্রতিকারে রাস্তায় নেমেছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগীরা। জানা যায়, বছর খানেক আগে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কটির রাজারহাট থেকে চুকনগর পর্যন্ত জামিল এন্টারপ্রাইজ ও মাহবুব ব্রাদার্স নামের দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করে। ফলে মহাসড়কটি দুই ইঞ্চি উঁচু হয়। এমনিতে আগেই মহাসড়কের দুই পাশ নিচু ছিল। সংস্কারের পর মূল মহাসড়কটি উঁচু হওয়ায় মহাসড়কের দুই পাশ কোথাও কোথাও ১ ফুট থেকে দেড় ফুট নিচু হয়ে গেছে। সংস্কারের পর প্রায় বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশ সমান করতে কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া একটু বৃষ্টি হলেই মহাসড়কটি পিচ্ছিল হয়ে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। গত ছয় মাসের ব্যবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রীসহ সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে ২০০ জন। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাসে মহাসড়কের মোলাম মিয়ার বটতলাসংলগ্ন স্থানে কমপক্ষে ৩০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও এনজিও নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৪ জুন ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক গ্রাহকের প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে একটি এনজিও। উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দরিদ্রঘরের এসব গ্রাহক। বুধবার দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল মধ্যেপাড়া এলাকায় অবস্থিত পল্লী প্রগতি ফাউন্ডেশন নামের ভুয়া এনজিওর সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রতারিত গ্রাহকরা জানান, গত ১১ দিন আগে গোলাকান্দাইল মধ্যেপাড়া এলাকার সৈয়দ মীরের বাড়িতে অফিস ভাড়া নেয় পল্লী প্রগতি ফাউন্ডেশন (পিপিএফ) নামে একটি এনজিও। সেখানে যুব প্রশিক্ষণ ও মানবিক সহযোগিতা প্রকল্প নামে একটি সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয়। মূল অফিস ঠিকানা দেয়া হয়েছে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার পূর্বকাকারা বাজারবাড়ি এলাকা। অফিস খোলে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। এনজিওর চেয়ারম্যান সুলতানা বেগম ও ম্যানেজার মামুনসহ অফিস কর্মকর্তারা সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করবেন বলে পুরো এলাকাতে প্রচার করেন। ৫ দিনের মাথায় কালীবাড়ী, বাজবী, মাহনা, দড়িকান্দি, গোলাকান্দাইল, কান্দাপাড়া, সাওঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার ৫ শতাধিক গ্রাহক হয়ে যায় এনজিওটিতে। গ্রাহকদের বুঝানো হয়, ১০ হাজার টাকা জমা রাখলে ১ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হবে, ৫ হাজার টাকা জমা রাখলে ৫০ হাজার টাকার ঋণ দেয়া হবে, ৩ হাজার টাকা জমা রাখলে ৩০ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হবে। আর টাকা জমার ৫ দিনের মধ্যেই ঋণ পরিশোধ করা হবে। এর পর থেকেই গ্রাহকরা ঋণের আশায় টাকা জমা দিতে শুরু করে।
×