ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পটিয়ায় কৃষকের দুর্ভোগ

শ্রীমতী খালে ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৫ জুন ২০১৭

শ্রীমতী খালে ভাঙ্গন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১৪ জুন ॥ মাটি ও বালু লুটের কারণে পটিয়া শ্রীমতী খালের ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত দুইদিনের ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে এই ভাঙ্গন দেখা দেয়। খালের দুই পাড়ের কয়েকশ’ পরিবার বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুত সমিতির বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে বালু ও মাটি কেটে নেয়ায় পাহাড়ী ঢলে খুঁটিটি পড়ে গেছে। যা শ্রীমতী খালে তিনদিন ধরে ভাসছে। যার কারণে উপজেলার দক্ষিণ হাইদগাঁও, পূর্ব হাইদগাঁও, উত্তর হাইদগাঁও ও মধ্যম হাইদগাঁও গ্রামের অনন্ত পাঁচ হাজার পরিবার অন্ধকারে নিমজ্জিত। অপরদিকে খালের ভাঙ্গনে কৃষকের ফসলসহ জমি খাল গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এসব দেখার কেই নেই। কৃষক ও গ্রামবাসীর অভিযোগ, পটিয়া বাইপাস সড়কের ঠিকাদার খালের নক্সা পরির্তন করে শ্রীমতী খালের মাটি ও বালু লুট করার কারণে বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। শুধু তা নয় সরকারী দলের প্রভাবশালী নেতারা এলাকার নিরীহ মানুষ ও কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফসলি জমি কেটে বালু ও মাটি লুট করেছে। যা বাইপাস সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই সময় যারা প্রতিবাদ করেছে তাদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। যার কারণে খালের বালু ও মাটি লুটের ঘটনায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। একইভাবে উপজেলার ভাটিখাইন স্টিল ব্রিজ এলাকায় বাইপাস সড়কের ঠিকাদার বেড়িবাঁধ কেটে দেয়ায় ভাটিখাইন, ছনহরা, কচুয়াই ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খালের বালু ও মাটি লুটের ঘটনা নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ১৫ পাতায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। কৃষকের সঙ্গে আলাপ ও সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শ্রীমতী খাল গুরুত্বপূর্ণ খাল। এই খালের দুই পাশে রয়েছে হাইদগাঁও, কচুয়াই, খরনা, ভাটিখাইন, ছনহরাসহ পৌর এলাকার অংশ। খালের পাড়ে কৃষকের রয়েছে শত শত একর ফসলি জমি। কিন্তু পটিয়া-গিরিশ চৌধুরী বাজার পাঁচ কিলোমিটার বাইপাস সড়কের উন্নয়ন কাজে লাভের আশায় সরকারী দলের প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যোগসাজশ করে জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই নিরীহ কৃষকের ৫০ একর ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু লুট করেছে। খালের নক্সা পরিবর্তন করে তারা তা ত্রিভূজ আকৃতির করার কারণে পাহাড়ী ঢলের পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে না পেরে পূর্বের খাল হয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে এবং নতুন খালটি এখন চরে রূপান্তর হয়েছে।
×