ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দ রশিদ আলম

জনসংখ্যা বিস্ফোরণ শেষ কোথায়

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৫ জুন ২০১৭

জনসংখ্যা বিস্ফোরণ শেষ কোথায়

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্ষুদ্র একটি ভূখ-, বাংলাদেশ। সবদিক দিয়ে আমাদের দেশ এগিয়ে গেলেও সাড়ে ষোল কোটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া যে কোন সরকারের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব দিক দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার তা সব কিছুই করছেন। কিন্তু বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। একটি সরকারী চাকরির জন্য ১০০০০ আবেদনকারী যদি হন, তাহলে বুঝতে হবে এর মূল কারণ জনবিস্ফোরণ। দক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওস দরিদ্র দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা কম হওয়ার কারণে, যে কোন পরিস্থিতি তারা মোকাবেলা করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে এই সমস্যাটা প্রকট থেকে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ কর্মের খোঁজে শহরে চলে আসছেন। কিন্তু শহরে এসেও তারা হতাশ হচ্ছেন। তার কারণ জনসংখ্যা। ষাট দশক থেকে সত্তর দশক পর্যন্ত এই সমস্যাটা আমাদের দেশে ছিল না। আশির দশকের পর থেকে জন বিস্ফোরণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যে কারণে অনেক সাফল্য ব্যর্থতায় পরিণত হচ্ছে। সংসার চালাতে গিয়ে গৃহকর্তা পরস্ত হচ্ছেন। তার মূল কারন পরিকল্পিত পরিবার গ্রহণ না করার ফলে আমাদের দেশে জনসংখ্যা এমন পর্যায় চলে গেছে যে, কোনভাবেই জনগণের মৌলিক চাহিদা মেটানো সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে জনগণের ভিতর ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। আমাদের এই ছোট্ট ভূখ-ে সাড়ে ষোল কোটির ওপর মানুষের সব ধরনের চাহিদা মেটানো কখনই সম্ভব হবে না। এখন থেকেই যদি আমরা সতর্ক না হই তাহলে আগামী দিনগুলোতে আমাদের আরও দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হবে। ধর্মগুরু থেকে, শিক্ষক থেকে, পরিবারের সকল স্তরের সবাইকে জন বিস্ফোরণের কুফল উপলদ্ধি করতে হবে। তাহলেই প্রত্যেকই পরিকল্পিত পরিবার গঠনে মনযোগী হবেন। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। ঢাকা থেকে
×