সঙ্কট মেটাতে ভিয়েতনাম থেকে আনা হচ্ছে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চালের সঙ্কট মেটাতে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও দুই লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল। ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে এ চাল আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে সরকারী ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া আরও ১৫ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। জানা গেছে, আমদানি করা সেদ্ধ প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৪৭০ ডলার। সে হিসাবে ৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে মোট খরচ পড়বে ১৯৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর প্রতি মেট্রিক টন আতপ চালের দাম পড়বে ৪৩০ ডলার। সে হিসেবে মোট আতপ চালে মোট খরচ হবে ৭১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এসব চালের ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর ও ৪০ শতাংশ আসবে মংলা বন্দর দিয়ে। চাল আমদানি করতে কত দিন লাগবেÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, জিটুজি পদ্ধতিতে এসব চাল আমদানি করা হবে। তাই বেশি সময় লাগবে না। চাল আমদানির ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার হবে কিনা-সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাজেট পাসের আগে এসব বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলা ঠিক হবে না। প্রসঙ্গত, দেশে কয়েক বছরের মধ্যে এখন চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছেÑ ৪৫-৪৭ টাকায়। এছাড়া মাঝারি ও উন্নত জাতের চিকন চালের দামও বেড়েছে। গত এক বছরে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ টাকার ওপরে। এতে করে সাধারণ মানুষের কষ্ট বেড়েছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ওএমএস এবং ১০ টাকা কেজির ন্যায্য দামে চাল খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু করলেও বাজারে চালের দাম কমছে না। সম্প্রতি হাওড় অঞ্চলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় চালের বাড়তি সঙ্কট তৈরি হয়েছে।