ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বোল্টকে এ্যাথলেটিক্সের আলী বললেন কো

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ১৩ জুন ২০১৭

বোল্টকে এ্যাথলেটিক্সের আলী বললেন কো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলী সারাবিশ্বকে মাতিয়েছিলেন। গত বছরই তার জীবনাবসান ঘটেছে। আরেক জগতে ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার আগেই কিংবদন্তি হয়ে গেছেন উসাইন বোল্ট। জ্যামাইকান এ স্প্রিন্টার ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড জগতে বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী। জিতেছেন সর্বাধিক ৯ অলিম্পিক সোনা। জ্যামাইকান এ সর্বকালের সবচেয়ে গতিধর তারকারও অবসর নেয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। আগামী আগস্টে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপসে অংশ নেয়ার পরই বিদায় নেবেন তিনি। তবে ইতোমধ্যেই নিজ দেশ জ্যামাইকার ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড থেকে বিদায় ঘটেছে তার। বিশ্ব এ্যাথলেটিক্স যখন একের পর এক ডোপ পাপে জর্জরিত, বিপর্যস্ত ও টালমাটাল ঠিক তখনই বোল্টের মতো এক কিংবদন্তি এই জগতের আকর্ষণ ও মর্যাদা ধরে রেখেছেন, সমুন্নত রেখেছেন ভাবমূর্তি এবং সব আঁধারকে একাই করেছেন আলোকিত। এ কারণে বোল্টের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিশ্ব এ্যাথলেটিক্স প্রধান সেবাস্তিয়ান কো। তিনি দাবি করেন বোল্ট হচ্ছেন এ্যাথলেটিক্সের আলী। গত দুই বছর ধরেই এ্যাথলেটিক্স বিশ্বে চরম দুর্দশা ঘনিয়ে এসেছে। এর কারণ বিভিন্ন ইভেন্টে বিশ্বের তারকা এ্যাথলেটদের নিষিদ্ধ ড্রাগে আসক্তি। সেটার ব্যাপকতায় রাশিয়ার ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড এ্যাথলেটরা গত বছর রিও অলিম্পিকে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। বিশ্ব জুড়ে অন্য দেশগুলোর বেশকিছু রেকর্ডধারী, পদকজয়ী এ্যাথলেটরা নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। বিশ্ব এ্যাথলেটিক্স ঘোর অমানিশায় পতিত হতে শুরু করে। কিংবদন্তি এ্যাথলেটরা, এ জগতের নেতারা চরম হতাশায় পর্যবসিত হন ডোপ পাপের কালো ছোবলের ব্যাপকতা দেখে। কিন্তু সাঁতারে মাইকেল ফেলপস ও স্প্রিন্টে বোল্ট একেবারে নিষ্কলুষ ক্যারিয়ার কাটিয়েছেন। গত অলিম্পিকেও এ দুই মহাতারকা তাদের আলোয় বাকি সব আঁধার দুরীভূত করেন। ইতোমধ্যেই ফেলপস বিদায় বলে দিয়েছেন। শুধু টিকে আছেন বোল্ট। তিনিও এ বছর আগস্টে বিদায় জানাবেন। এর আগে একেকটি শহরে অনুষ্ঠিত মিটে অংশ নিচ্ছেন শেষবারের মতো। নিজ জন্মভূমি ও স্প্রিন্টার হিসেবে বেড়ে ওঠা কিংস্টনকেই বিদায় জানিয়েছেন সবার আগে। তার বিষয়ে এ্যাথলেটিক্স প্রধান কো বলেন, ‘সহজাত প্রবৃত্তি থেকে সবাই উপলব্ধি করছে যে সেটা অনেক বড় এক মুহূর্ত হতে যাচ্ছে। এটাই তার বাড়ি। আমি অনুভব করছি যে এখানকার মানুষ আবেগে উদ্বেলিত হয়ে পড়েছে। লোকজন ভালবাসায় সিক্ত করবে বোল্টকে সেটা আমি দেখতে চেয়েছিলাম। সবচেয়ে মুগ্ধ করার বিষয় হচ্ছে এখানকার মানুষ তো আছেই, অন্য অনেক দেশ থেকেই লোকজন এসেছে বোল্টকে দেখতে। মানুষ খুব ভাল করেই জানেন যে শেষবারের মতো যা দেখতে চলেছেন সেটা অবশ্যই বিশেষ এবং অনন্য কিছু হতে যাচ্ছে। আর সেটাই হলো।’ কিংস্টনকে বলা হয় স্প্রিন্ট জগতের রাজধানী। এখান থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছে বিশ্বসেরা সব গতিধর মানব-মানবী। তবে সব যুগের সবাইকে ছাড়িয়ে এখন সবার ওপরে বোল্ট। তিনি সর্বকালের সেরা হিসেবে ‘জ্যামাইকান বিদ্যুত বা বিদ্যুত বোল্ট’ উপাধি পেয়েছেন। তবে কো তাকে এবার নতুন উপমা দিলেন।
×