ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিয় এজবাস্টনে সেমির অপেক্ষায় কোহলি

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ১৩ জুন ২০১৭

প্রিয় এজবাস্টনে সেমির অপেক্ষায় কোহলি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইলে উঠে গেছে আসরের ‘ডিফেন্ডিং’ চ্যাম্পিয়ন ভারত। কেনিংটন ওভালে সতীর্থদের পারফর্মেন্সে খুশি অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়েছেন এজবাস্টন তাদের প্রিয় ভেন্যুগুলোর অন্যতম। বৃহস্পতিবার বার্মিংহামের এজবাস্টনেই দ্বিতীয় সেমিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে টিম ইন্ডিয়া। কোহলি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিলাম, একই ভুল বার বার করতে পারি না। খেলার ফলও দুই-তিনজনের ওপর নির্ভর করতে পারে না। সবাই মিলে লড়তে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছেলেরা সেটাই করেছে। আমরা একটা দল হয়ে খেলতে পেরেছি। সবাই এখন সেমির জন্য প্রস্তুত। এজবাস্টন আমাদের অনেক প্রিয়। পিচ আমাদের খেলার ধরনের সঙ্গে মানানসই।’ কোহলি আরও বলেন, ‘পেছন ফিরে তাকানোর কোন জায়গা নেই। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জিতলেও সব সময় উন্নতির জায়গা থাকে। আমরা আরও উন্নতির রাস্তাই খুঁজি।’ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯১ রানে অলআউট করার পর ৮ উইকটের বড় জয়ে সেমি নিশ্চিত করে ভারত। অধিনায়ক আশ্বস্ত হতে পারছেন যে, শিখর ধাওয়ান (৮৩ বলে ৭৮) ফের রান পেয়েছেন। তিনি নিজে (১০১ বলে ৭৬ নট আউট) রান পেলেন। যুবরাজ সিং (২৫ বলে ২৩ নট আউট) ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেছেন। শ্রীলঙ্কার কাছে অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। কোহলি আরও যোগ করেন, ‘কোটি কোটি মানুষের মধ্যে আমরা সুযোগ পেয়েছি এই পর্যায়ে খেলার। ফলে যে সুযোগ আমাদের কাছে এসেছে তাকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য ভাল কিছু করতে হবে। আর আমার বিশ্বাস আমাদের মধ্যে সর্বোচ্চটা পাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।’ জীবন মরণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় টিম ইন্ডিয়া। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফাঁস হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই অনবদ্য জয়ের রহস্য। রহস্যই বটে। তাও আবার টিম-ইন্ডিয়ার অন্দর মহলের। ড্রেসিং রুমে ক্যাপ্টেন কোহলির ভোকাল টনিকেই নাকি বদলে গেছে রোহিত-ধাওয়ানদের শারীরিক ভাষা। শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর খেলোয়ারদের উদ্বুদ্ধ করতে কোহালি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের প্রতি সৎ থাকতে হবে। কখনও কখনও এ রকম খারাপ সময় আসে, কিন্তু এটাকে মেনে নিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে হয়। নিজেদের আবারও প্রমাণ করতে হবে।’ পাকিস্তানের বিপক্ষে ভাল শুরু করলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুখ থুবড়ে পড়েছিল মেন ইন ব্লু। এর পরই গোটা দলকে ড্রেসিং রুমে একত্রিত করে ভোকাল টনিক দেন বিরাট। বারবার একই ভুল যে মেনে নেয়া যায় না তা মনে করিয়ে দিয়ে ভারত অধিনায়ক ও দলের বড় তারকা। এই ভারতীয় দল তো বলে বলে মাত দিয়ে এসেছে গোটা বিশ্বকে। দেশের মাটিতে পর পর সিরিজ জয় থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স, সবই ছিল ভারতের দখলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শুরুটাও হয়েছিলই সে রকমই। তাও আবার চিরশত্রু পাকিস্তানের বিপক্ষে। কিন্তু পরের ম্যাচেই ওই ছন্দপতন। হার শ্রীলঙ্কার মতো দুর্বল দলের কাছে। তা হলে কি ফর্ম হারাতে শুরু করল ভারত? প্রশ্নটা উঠতে না উঠতেই জবাব। তাও আবার মাঠেই ব্যাট-বল হাতে। নাম্বার ওয়ান দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করে।
×