ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পার্লামেন্ট নির্বাচনেও বড় জয় পাচ্ছে ম্যাক্রোঁর দল

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৩ জুন ২০১৭

পার্লামেন্ট নির্বাচনেও বড় জয় পাচ্ছে ম্যাক্রোঁর দল

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী দল রবিবার অনুষ্ঠিত দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বলে জনমত জরিপ সংস্থাগুলো জানিয়েছে। খবর বিবিসির। এক জরিপে দেখা গেছে, নবগঠিত রাজনৈতিক দল লা রিপাবলিক এন মার্চ (রিপাবলিক অন দ্য মুভ) (এলআরইএম) ও তার মিত্র মুভমেন্ট ডেমোক্র্যাট পার্টি (মোডেম) ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলির ৫৭৭টি আসনের মধ্যে ৪৪৫টির বেশি আসনে জয়লাভ করতে যাচ্ছে। চূড়ান্ত ফলাফল আগামী রবিবার পাওয়া যাবে। মাত্র এক বছর আগে ম্যাক্রোঁ এলআরইএম দল গড়ে তোলেন। তার দলের অনেক প্রার্থীই রাজনীতিতে নবীন। যাদের কোন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। প্রথম দফা ভোটের প্রায় সব ভোটই গণনা করা হয়েছে। যাতে দেখা গেছে, ম্যাক্রোঁর এলআরইএম ও মোডেম ৩২ দশমিক তিন শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে মধ্য ডানপন্থী রিপাবলিকান পার্টি ১৬ শতাংশের কম ও ফ্রান্সের সাবেক ক্ষমতাসীন দল সোশ্যালিস্ট পার্টি সাত দশমিক চার শতাংশ ভোট পেয়েছে। উগ্র ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এফএন) ১৩ দশমিক দুই শতাংশ ও উগ্র বামপন্থী ফ্রান্স আনবোওড মাত্র ১১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তবে ২০১২ সালে প্রথম দফা যে ভোট পড়েছিল তার তুলনায় এ বছর কম ভোট পড়েছে। সে সময় প্রথম দফা ভোটে ৫৭ দশমিক দুই শতাংশ ভোট পড়েছিল। এ বছর ৪৮ দশমিক সাত শতাংশ ভোট পড়েছে। যাকে বিশ্লেষকরা ম্যাক্রোঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের পদত্যাগের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন। তারা বলেন, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অসাধারণ কৃতিত্ব নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। যদি প্রথম দফা ভোটে অনুমানগুলো স্থায়ী হত তাহলে ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলিতে যে পরিবর্তন ঘটেছে তা ১৯৫৮ সালে চার্লস দ্য গল প্রবর্তিত ফিফথ রিপাবলিক প্রচলনের পর প্রথম সবচেয়ে বড় হিসেবে দেখা হত। নতুন যেসব এমপিরা নির্বাচিত হত যারা কখনোই কোন বিতর্কে অংশ নেয়নি। পার্লমেন্ট বিতর্ক তো অনেক দূরের বিষয়। এটি মাথায় রেখে দায়বদ্ধতার সঙ্গে সবকিছু করতে হবে। ম্যাক্রোঁর মাস্টার প্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায় হলোÑ প্রকৃত সংস্কার যা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ।
×