ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বর্ণের রিজার্ভ ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৩ জুন ২০১৭

স্বর্ণের রিজার্ভ ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন ও ব্রেক্সিট ভোটে ভূ- রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা যোগ হওয়ার পর বিশ্বে সরকারীভাবে স্বর্ণ মজুদের হার বেড়ে গেছে। এই রিজার্ভ ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের স্বর্ণ রিজার্ভের পরিমাণ ৩৭৭ টন বেড়ে ৩১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে; যা ১৯৯৯ সালের পর সর্বোচ্চ। ৭৫০ কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সরকারী পেনশন পরিকল্পনা ও সার্বভৌমত্ব ফান্ডের ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য তুলে ধরেছে অফিসিয়াল মনিটারি এ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ফোরাম (ওমফিফ) নামের একটি সংস্থা। সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ডানাই কিরাকোপোলৌ জানিয়েছেন, স্বর্ণ ‘হ্যাভেন এ্যাসেট’ নামে খ্যাত। ভূ-অঙ্গনে একটু অস্থিরতায় সোনালি এই ধাতুটির দাম ক্রমবর্ধমান থাকে। সে কারণে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারীরা পণ্যটির দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে; মজুদ বাড়ায়। জরিপে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) ইস্যু সবচেয়ে বড় ঘটনা; যা ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। আর সে কারণে স্বর্ণ খাতের বিনিয়োগকারীরা পণ্যটি এসময় সবচেয়ে বেশি মজুদ করেছে। তবে আরেক গবেষক জানান, নির্বাচন যেহেতু বছরের শেষ সময়ে হয়েছে, তাই এরচেয়ে ডলারের মূল্য পতনই স্বর্ণের মজুদ বাড়াতে সহায়তা করেছে। এক হিসাবে দেখা যায়, বিশ্বের প্রধান প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্যপতন হয়েছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারী প্রতিষ্ঠান গত কয়েক বছর স্বর্ণ মজুদে কৌশলগত পরিবর্তন এনেছে। তারা এ হার বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এখন প্রচুর ডলার রিজার্ভ আছে; মুদ্রার বিনিময় হারের সদ্ব্যবহার করতে যা দিয়ে তারা স্বর্ণ কিনে রাখছে। ওমফিফের তথ্য মতে, রাশিয়া, চীন ও কাজাখস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছর সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ ক্রেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সাকের নৌশিবাহ নামের এক অর্থনীতিবিদ জানান, স্বর্ণ হচ্ছে অনিশ্চয়তার সময়কার ভরসা। মূল্যস্ফীতি বাড়ানো ঠেকাতেও সরকারী খাতের বিনিয়োগকারীরা এর রিজার্ভ বাড়াচ্ছে। সঞ্চয়পত্রে সুদের হার না কমানোর দাবি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সঞ্চয়পত্রে সুদের হার না কমানোর দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির আবদুল মুনিম চৌধুরী। সোমবার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর আগে বলেছিলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কিছুটা কমানো হবে। সাধারণত সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ব্যাংকের সুদের হারের থেকে একটু বেশি রাখা হয়। তবে খুব বেশি রাখা ?উচিত নয়। আমাদের সামগ্রিক একটি হিসাব হলো- মার্কেট ইন্টারেস্ট রেটের থেকে কমপক্ষে ২ শতাংশ বা তার বেশি রাখা দরকার। সেই অনুযায়ী, এই রেট নির্ধারণ করা হবে। তবে এই সুদের হার কতদিনে কমানো হতে পারে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। বলেছেন, এর জন্য সময় লাগবে। আবদুল মুনিম চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষ মনে করে বাজেট মানে কর বৃদ্ধি, দাম বৃদ্ধি। এত ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপের পরও প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির ৫ শতাংশ ঘাটতি।
×