ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনা অঞ্চল বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১৩ জুন ২০১৭

খুলনা অঞ্চল বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ খুলনা অঞ্চল বিনিয়োগে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। নিকটবর্তী মংলা বন্দর ও পায়রা বন্দর থাকায় এটি অন্যতম অর্থনৈতিক জোন বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম। সোমবার খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে বেসরকারী বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ এবং শিল্পায়নের সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক বিভাগীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) খুলনা বিভাগীয় অফিস এ সম্মেলনের আয়োজন করে। আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন পর্যায়ের উদ্যোগকে উৎসাহিত করাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে চায়। প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রি যাতে বিদ্যুত সুবিধা পায় এজন্য ২৮ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিক বিদ্যুত সংযোগ দেয়া সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। তিনি আরও বলেন, মানুষ যদি উদ্যোগ নিতে চায়; ব্যবসা অর্থাৎ বিনিয়োগ করতে চায় তার সহায়তায় সহজতর পরিবেশ গড়ে তোলাই বিডার কাজ। বিনিয়োগ সহায়ক সব সেবা যেন এক জায়গা থেকে পাওয়া যায় এ জন্য আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রথমত ঢাকা ও চট্টগ্রামে চালু হতে যাচ্ছে বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস। পর্যায়ক্রমে এটি অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও চালু করা হবে। সম্মেলনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, খুলনা অঞ্চলে পদ্মাসেতুসহ রেলযোগাযোগের সুবিধা খুলে দিচ্ছে শিল্পায়নের অবাধ সুযোগ। এ সময় বক্তারা বলেন, এই অঞ্চলে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন, উন্নতমানের আম বিপণন, ঐতিহ্যবাহী ফুলের চাষ, চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষ এবং সুন্দরবনসহ স্থানীয় অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহে ট্যুরিজমের পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ইঙ্গিত দিচ্ছে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ যে কোন বিনিয়োগের বহুমুখী উদ্যোগের নিশ্চিত সাফল্য। আপটায় ১০ হাজার পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে মোট ১০ হাজার ৬৭৭টি পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এর ফলে বাংলাদেশের রফতানি খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে মনে করছে সরকার। সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত ‘সেকেন্ড এ্যামেন্ডমেন্ট টু দ্য এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এ্যাগ্রিমেন্ট’-এর অনুসমর্থনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এ্যাগ্রিমেন্টের (আপটা) আওতায় বর্তমানে ৪ হাজার ৬৪৮টি পণ্য বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। দ্বিতীয় সংশোধনীর ফলে এখন মোট ১০ হাজার ৬৭৭টি পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাওয়া যাবে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত সাধারণ তালিকার সকল সদস্য দেশকে ৩ হাজার ৩৮১টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ, চীন সাধারণ তালিকার সকল সদস্যকে ২ হাজার ৩৭২টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া সাধারণ তালিকার সদস্য দেশগুলোকে ৩ হাজার ৩৫৭টি পণ্যে ১০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা দেবে।
×