ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টির রানী

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৩ জুন ২০১৭

বৃষ্টির রানী

স্কুলবালিকা মাসালানাবো মোজাজি। বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা তার। তবে মোজাজি কোন সাধারণ মেয়ে নয়। সে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের একমাত্র ভবিষ্যৎ রানী। তার আরেকটি অলৌকিক ক্ষমতা আছে; মাসালানাবো নাকি বৃষ্টি নামাতে পারে। তাই অনেকে তাকে বৃষ্টি রানী বলে ডাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার লিমপোপো প্রদেশের জাতিগত আদিবাসী গোষ্ঠী বেলোবেদুর রাজত্বের উত্তরাধিকার মাসালানাবো। বেলোবেদু সম্প্রদায়ের আগের রানী ছিলেন মাসালানাবোর মা। ২০০৫ সালে মারা যান তিনি। তখন মাসালানাবোর বয়স মাত্র তিন মাস। তার যেদিন ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হবে, সেদিন মাসালানাবো অভিষিক্ত হবে রানীর মর্যাদায়। তার পিতৃপুরুষের গ্রাম মোজাজিসক্লুফের সিংহাসনে আরোহন করবে সে। জোহানেসবার্গ থেকে আড়াইশ মাইল উত্তরে এই গ্রামটি। ২শ’ বছরের বেশি সময় ধরে বেলোবেদু সম্প্রদায়কে শাসন করে আসছেন কোন নারী। রানীদের মধ্যে মাসালানাবোর মা ছিলেন একমাত্র রানী, যিনি লিখতে-পড়তে পারতেন। তিনি ইংরেজি ভাষাও জানতেন। কম্পিউটারেও দক্ষতা ছিল তার। আর জানতেন গাড়ি চালাতে। মাসালানাবোও গাড়ি চালাতে পারে। সে নিজেই গাড়ি চালিয়ে স্কুলে যায়-আসে। স্কুল থেকে ফিরেই বালোবেদুর এই ভবিষ্যৎ রানী স্কুলড্রেস ছেড়ে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে নেয়। সাদা-কালোর লম্বা এই গাউনের সঙ্গে মাথায় রানীর চিহ্ন নানা রঙের ব্যান্ড। গত বছর অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর বেলোবেদুর রানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে তার। দক্ষিণ আফ্রিকার গণতান্ত্রিক সরকারে তার কোন ক্ষমতা না থাকলেও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে রাজকীয় মর্যাদা পায় মাসালানাবো। বিশেষ করে বসন্তকালে ঐতিহ্যবাহী বৃষ্টি নামানোর অনুষ্ঠানে প্রধান ভূমিকা থাকে তার। ডেইলি মেইল অবলম্বনে।
×