ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রেইনট্রির ঘটনা

চার্জশীট আমলে নেয়ার দিন ১৯ জুন

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১৩ জুন ২০১৭

চার্জশীট আমলে নেয়ার দিন ১৯ জুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার পাঁচ আসামির উপস্থিতি ও অভিযোগ পত্রটি আমলে নেয়ার জন্য আগামী ১৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকার ২ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম এই দিন ধার্য করেন। রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম হাফিজুর রহমান মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী মামলাটির নথি ওই ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দোলোয়ার হোসেনের আদালতে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যামি। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৪৭ জনকে। মামলার আসামিরা হচ্ছেন, আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ই-মেকার্স’ এর কর্মকর্তা নাঈম আশরাফ, ঢাকার পিকাসো রেস্তরাঁর অন্যতম মালিক রেগনাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপকমিশনার ফরিদা জানান, সাফাত ও নাঈম ধর্ষণে সরাসরি অংশ নেয়। বাকি তিনজন তাদের সহযোগিতা করে বলে চার্জশীটে অভিযোগ আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় তারা বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। বনানী থানা পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ করেন তরুণীদের একজন। এরপর আসামি ধরতেও পুলিশের অনীহার অভিযোগের মুখে মামলার তদন্তভার পুলিশের উইমেন ভিকটিম সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনকে দেয়া হয়। পরে ডিবি পুলিশ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ৫ আসামি গ্রেফতার করে। এরপর গাড়িচালক বিল্লাল ছাড়া বাকি চার আসামিই নিজেদের দায় স্বীকার করে হাকিমের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন।
×