ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি সই

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১২ জুন ২০১৭

শাহজালালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু হবে আগামী এপ্রিলে। এ প্রকল্পের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। রবিবার দুপুরে এ চুক্তি সই হয়। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এহসানুল গনি চৌধুরী এবং নিপপন কায়োর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারওহিকো কানাই চুক্তিতে সই করেন। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন উপস্থিত ছিলেন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য সিভিল এভিয়েশনকে ব্যয় করতে হবে ৫৭০ কোটি ৭৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। এ সময় মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বাৎসরিক ৮ মিলিয়ন এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বাৎসরিক ২ লাখ টন। বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ইতোমধ্যে সক্ষমতা হারিয়েছে। ২০১৮ সালে যাত্রী হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটিও সক্ষমতা হারাবে। এজন্য বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সেজন্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ প্রকল্প হাতে নিয়ে দ্রুত শেষ করার জন্য সবাইকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এহসানুল গণি চৌধুরী বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ শুরু হবে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এবং শেষ হবে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের আয়তন ২ লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটার। নতুন কার্গো ভিলেজের আয়তন হবে ৪১ হাজার ২শ’ বর্গমিটার। ভিভিআইপি কমপ্লেক্স ৫ হাজার ৯শ’ বর্গমিটার। পার্কিং এ্যাপ্রোন ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫শ’ বর্গমিটার। এছাড়া র‌্যাপিড এক্সিট এ্যান্ড কানেকটিং টেক্সিওয়ে, তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে মূল এয়ারপোর্টের সড়কের কানেকটিভিটি তৈরি করা হবে। প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী জানান, জাপানের নিপপন কায়ো, ওরিয়েন্টাল কনস্যালটেন্ট গ্লোবাল, সিঙ্গাপুরের সিপিজি কনস্যালটেন্ট, বাংলাদেশের ডিজাইন কনস্যালটেন্টস লিমিটেড যৌথভাবে এ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তদারকি করবে। বাংলাদেশের ডিজাইন কনস্যালটেন্টস লিমিটেডের সিনিয়র প্রকৌশলী মোস্তাফিজ রহমান বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের বিস্তারিত ডিজাইন রিভিউকরণ, মূল নির্মাণ কাজের দরপত্রের খসড়া এবং প্রকল্পের সুপারভিশন করবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো।
×