ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লোকসান গুনছে দশটি ;###;চলতি অর্থবছরে নিট মুনাফা ৬ হাজার ৬১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ;###;সর্বোচ্চ মুনাফায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ;###;সর্বোচ্চ লোকসানে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের হাল হকিকত ॥ লাভের মুখে ৩৫

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১২ জুন ২০১৭

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের হাল হকিকত ॥ লাভের মুখে ৩৫

এমদাদুল হক তুহিন ॥ অব্যাহতভাবে সরকারী প্রতিষ্ঠানে পরিচালন মুনাফার পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১১ হাজার ৫৩২ কোটি ২০ লাখ টাকার পরিচালন মুনাফা অর্জিত হলেও চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) তা হ্রাস পেয়ে ৮ হাজার ২১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক্কলিত হিসেবেও পরিচালন মুনাফার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। বছরটিতে সরকারী প্রতিষ্ঠানে মাত্র ৫২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার পরিচালন মুনাফা অর্জিত হবে বলে হিসাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ঋণাত্মক (৭৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ) পর্যায়ে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট সংক্ষিপ্তসার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় পরিচালন মুনাফা হ্রাস পেলেও চলতি অর্থবছরে সরকারী প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফা ৬ হাজার ৬১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। বছরটিতে ৭ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার নিট মুনাফা অর্জন করে সর্বোচ্চ মুনাফাধারী প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। একই সময়ে সর্বোচ্চ লোকসান দিয়েছে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। বছরটিতে বিপিডিবির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৪১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সরকারী প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে পরিচালন মুনাফা অর্জিত হলেও এর ইউনিটসমূহ কয়েকগুণ লোকসান দিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে লোকসানের পরিমাণ ১ হাজার গুণ ছাড়িয়েছে। মোট হিসেবে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লাভের মুখে থাকলেও ধীরে ধীরে কমছে ওই লাভের পরিমাণ। তথ্য মতে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর নিট লোকসানের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬০৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অব্যাহত লোকসান কাটিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। বছরটিতে নিট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার ২২ কোটি টাকা। পরবর্তী ৪ বছর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা অব্যাহতভাবে মুনাফা অর্জন করে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী সরকারী প্রতিষ্ঠানে নিট মুনাফার পরিমাণ ৬ হাজার ৬১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭ থেকে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৪৫ সংস্থার মধ্যে ১০ টিই লোকসানে। বছরের পর বছর ধরে এসব প্রতিষ্ঠানে লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে। সর্বশেষ অর্থবছরে ১০ প্রতিষ্ঠানে লোকসানের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। বিপরীতে লাভের মুখে ৩৫ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে লাভের পরিমাণ বাড়লেও মোট হিসেবে ৪৫ টি প্রতিষ্ঠানেও কয়েক বছর ধরে মুনাফার পরিমাণ কমছে। বর্তমানে দেশে অ-আর্থিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৫ টি। এর মধ্যে শিল্প ও বাণিজ্য খাতে ৯ টি, বিদ্যুত, গ্যাস ও পানি সেবায় ৫ টি, পরিবহন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে ৭ টি, কৃষি খাতে ২ টি, নির্মাণ খাতে ৫ টি ও সেবা খাতে ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদিকে, বছরের পর বছর ধরে লোকসান দিয়ে যাচ্ছে সরকারী মালিকানাধীন শীর্ষ ছয় প্রতিষ্ঠান। ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক অদক্ষতা, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ছয় প্রতিষ্ঠান লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, এই ছয় প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর লোকসান গুনতে গুনতে রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকসান গুনতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি), বাংলাদেশ পাটকল সংস্থা (বিজেএমসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এই ছয়টি প্রতিষ্ঠানের লোকসানের পরিমাণ এক লাখ হাজার কোটি টাকারও বেশি বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট-সংক্ষিপ্তসার থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্প কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে লোকসান দিয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন ঘাটতির পরিমাণ ১১ কোটি ৪১ লাখ ৬১ হাজার টাকা। আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ছিল ৫১ লাখ ২১ হাজার টাকা। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। তবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রতিষ্ঠানটির লাভের পরিমাণ আরও কম ধরা হয়েছে। পরিচালন ব্যয়বাবদ উদ্বৃত্ত আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এদিকে, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের ইউনিটসমূহের লোকসান কমে আসার তথ্য উঠে এসেছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেটে। তথ্য পর্যালোচনা করে বলা যায়, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় লাভের মুখ দেখলেও এর ইউনিটসমূহ অব্যাহতভাবে লাভের তুলনায় প্রায় ১ হাজার গুণ লোকসান দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালন মুনাফা ছিল ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এসে প্রতিষ্ঠানটি ২ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক্কলিত লোকসানের পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ কোটি ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তথ্য পর্যালোচনা করে বলা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি লাভের মুখ দেখলেও আগামী অর্থবছরে লাভের তুলনায় অন্তত ৪ গুণ লোকসান দিবে এই প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের ইউনিটসমূহ মুনাফার মুখ দেখছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭৩ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার টাকার পরিচালন মুনাফা প্রাক্কলন করা হয়েছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য কর্পোরেশনের আয়-ব্যয় প্রায় সমান সমান। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী অর্থবছরেও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে কোন লাভ থাকবে না। তবে প্রধান কার্যালয়ে ঘাটতি না থাকলেও এর ইউনিটসমূহ মোটা অঙ্কের লোকসান দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এর ইউনিটসমূহের লোকসান দাঁড়াবে ২১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। অপরদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেটে পরিচালন লোকসান কমে ১৫০ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার টাকা হবে বলে হিসাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের আয়-ব্যয় সমান হলেও এর ইউনিটসমূহ আগামী অর্থবছরে ১০৫ কোটি ১৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা লোকসান গুনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় মুনাফা করলেও আগামী বাজেটে মুনাফার পরিমাণ হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির ২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আয় প্রাক্কলন করা হলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা হ্রাস পেয়ে ১৬ কোটি ৯২ লাখ ৯২ হাজার টাকায় দাঁড়াবে বলে হিসাব করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) লোকসান দাঁড়াবে ৪ হাজার ১০৬ কোটি ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম ওয়াসা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা লোকসান দেবে বলে হিসাবে ধরা হয়েছে। তবে ঢাকা ওয়াসা লাভের মুখে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ৭৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৮৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়। খুলনা ওয়াসার ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্কলিত মুনাফার পরিমাণ ১ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশনের মুনাফার পরিমাণ ৯২৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। একই অর্থবছরে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের লোকসান হয়েছে ৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজাার টাকা ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক্কলিত লোকসানের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩২ কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের পরিচালনের ক্ষেত্রে লোকসান হলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা হবে ৫২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী অর্থবছরে ৬৮৭ কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা নিট মুনাফা করবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। আর মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালন মুনাফা ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৭ কোটি ৮৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা মুনাফা করবে বলে ধরা হয়েছে। প্রাক্কলিত বাজেটে লাভের মুখ দেখবে এমন প্রতিষ্ঠান আগামী অর্থবছরে ৩৫ টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ও ইউনিটসমূহ লাভের মুখ দেখবে বলে হিসাব করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোÑ বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়), বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (ইউনিটসমূহ), বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (ইউনিটসমূহ), বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়), ঢাকা ওয়াসা, খুলনা ওয়াসা, বাংলাদেশ তৈল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাবন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (ইউনিটসমূহ), ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়), বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (ইউনিটসমূহ), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ণ কৃর্তপক্ষ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়), বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন (ইউনিটসমূহ), বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (প্রধান কার্যালয়), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (ড্রেজার পরিদফতর), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (প্রধান কার্যালয়), বাংলাদেশ চা বোর্ড, বস্ত্র প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন। লোকসান দেবে যেসব প্রতিষ্ঠান আগামী অর্থবছরে লোকসান দেবে এমন প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ইউনিটসমূহের সংখ্যা ২০ টি। এগুলো হচ্ছেÑ বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্প কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়), বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্প কর্পোরেশন (ইউনিটসমূহ), বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (ইউনিটসমূহ), বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (ইউনিটসমূহ), বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (ইউনিটসমূহ), বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম ওয়াসা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পাট কর্পোরেশন (বিলুপ্ত), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট (ইউনিটসমূহ), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট (প্রধান কার্যালয়), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (যান্ত্রিক সরঞ্জাম পরিদফতর) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুত সমিতি।
×