ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জয় দিয়ে জ্যামাইকার ট্র্যাককে বিদায় বোল্টের

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ১২ জুন ২০১৭

জয় দিয়ে জ্যামাইকার ট্র্যাককে বিদায় বোল্টের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ মৌসুমের শেষেই অবসর নেবেন। তা অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন উসাইন বোল্ট। সর্বকালের সবচেয়ে গতিধর এ তারকা স্প্রিন্টার এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপস আসর শেষেই ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড জগতকে বিদায় জানাবেন। কিন্তু সবার আগে নিজ দেশেই যবনিকা ঘটলো বোল্টের ক্যারিয়ারের। যে কিংস্টন জাতীয় স্টেডিয়ামে একজন স্প্রিন্টার হিসেবে গড়ে উঠেছেন, সেখানে ক্যারিয়ারের শেষ রেসে অংশ নেয়া হয়ে গেছে। রেসার্স গ্রাঁ প্রিঁ আসরে জয় দিয়ে জ্যামাইকার মাটিতে স্প্রিন্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন বিশ্বরেকর্ডধারী দ্রুততম মানব বোল্ট। রেসার্স গ্রাঁ প্রিঁ নিয়ে বেশ উন্মুখ হয়ে ছিলেন বোল্ট। কারণ দেশের মাটিতে এটিই শেষ রেস তার। আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপস আসরের পর অবসর নেবেন তিনি। এ কারণে সর্বকালের সেরা এ গতিরাজকে শেষবারের মতো প্রতিযোগিতার ট্র্যাকে দেখতে শনিবার রাতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিপুল দর্শক। তাদের হতাশ হতে হয়নি। ৩০ হাজার ভক্ত সমর্থককে আনন্দে ভাসিয়েছেন জয় তুলে নিয়ে। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে নাম দেয়া হয়েছিল ‘স্যালুট টু লিজেন্ড।’ এ স্টেডিয়ামের ট্র্যাকেই ২০০২ সালে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বোল্ট। সেই ট্র্যাকে শেষবারের মতো নেমে ১০.০৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে শেষ করেন বোল্ট। দেশের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গেই লড়েছেন তিনি। ছিলেন গতবারের রানার্সআপ জ্যাভন মিনজি। শেষ করার পর আবার ৫ নম্বর ট্র্যাকে ফিরে যান বোল্ট এবং ফিনিশিং লাইনে চুম্বন এঁকে দেন। এরপরই চিরাচরিত উদযাপনের যে নিদর্শন সেটা দেখা যায় বোল্টের কাছ থেকে। যদিও বোল্ট এদিন খুব দ্রুত দৌড়াতে পারেননি, কিন্তু ভক্তরা সেদিকে কোন মনোযোগই দেননি। তারা শুধু এ গতি তারকাকে দেখতে এসেছিলেন। সবুজ-হলুদ রংয়ের সমুদ্র তৈরি হয়েছিল কিংস্টন জাতীয় স্টেডিয়ামে। উল্লেখ্য, সবুজ-হলুদ জ্যামাইকার জার্সি। এ বছর আর কোন ১০০ মিটারে অংশ নেননি বোল্ট। এটাই প্রথম রেস ছিল তার এই ইভেন্টে। এ কারণে কিছুটা হয়তো জড়তা কাজ করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সহজেই শেষ করতে পেরেছেন। এরপর বোল্ট বলেন, ‘আমার মনে হয় না আমি আগে কখনও এর আগে ১০০ মিটারে দৌড়ানোর সময় এতটা স্নায়ুচাপে ছিলাম। পরিবেশ এবং মানুষগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তারা যে সমর্থন দিয়েছে সেটা সত্যিই স্নায়ুচাপের। এক্ষেত্রে কোনকিছু বলার নাই। বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে আমি সবসময়ই জ্যামাইকাতে বিপুল সমর্থন পেয়েছি। আমি কখনও ভাবিনি যে ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডে এত উঁচুতে উঠতে পারব। তবে আমি বাবা-মার সমর্থন ছাড়া এত ভাল অবস্থানে পৌঁছুতে পারতাম না।
×