ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বাদশ শ্রেণীর পড়াশোনা ॥ ফিন্যান্স, ব্যাংকি ও বিমা-২য় পত্র (অর্থায়ন), বিষয় কোড- ২৯৩

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১২ জুন ২০১৭

দ্বাদশ শ্রেণীর পড়াশোনা ॥ ফিন্যান্স, ব্যাংকি ও বিমা-২য় পত্র (অর্থায়ন), বিষয় কোড- ২৯৩

সহকারী অধ্যাপক শাহ্ নিয়ামতুল্লাহ কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। মোবাইল : ০১৭১৭-০০১০৮৫ (সৃজনশীল প্রশ্ন) ঃ অধ্যায় ঃ ২য় ও ৩য় দেশে মুদ্রাস্ফীতি দ্রুত বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতি রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলোর নগদ জমার পরিমাণ ৫% থেকে ৭% এ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলোর ঋণদান ক্ষমতা কিছুটা কমলেও তা প্রত্যাশিত না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে সহজ শর্তে কিছু বন্ড ও বিল ছেড়েছে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রশ্ন ঃ ক) বাণিজ্যিক ব্যাংক কী? উত্তর ঃ যে ব্যাংক জনসাধারণের আমানত গ্রহণ ও ঋণদানের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। প্রশ্ন ঃ খ) কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের ব্যাংক বলা হয় কেন? উত্তর ঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা রাখে এবং সরকারের পক্ষে লেনদেন করে। সরকারের নির্দেশে সরকারি ব্যয় পরিশোধ করে, হিসাব রাখে এবং যাবতীয় আর্থিক কার্যাবলি সম্পন্ন করে। আবার এ ব্যাংক সরকারের পক্ষে নোট ইস্যু করে এবং মুদ্রার প্রচলন করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার চেষ্টা করে। মূলত সরকারের পক্ষ হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্পাদন করে বলে এটি সরকারের ব্যাংক। প্রশ্ন ঃ গ) বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে? ব্যাখ্যা কর। উত্তর ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমে জমার হার পরিবর্তন নীতি ব্যবহার করেছে। দেশের দ্রব্যমূল্য দ্রুত বাড়তে থাকলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। আর এ মুদ্রাস্ফীতি রোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রত্যেক তালিকাভুক্ত ব্যাংকের জমার হার ৫% থেকে ৭% এ বৃদ্ধি করে। ফলে ব্যাংকগুলোর ঋণদান ক্ষমতা কমে যায়। ফলে মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক থাকে। তাই উদ্দীপকে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাংক জমার হার পরিবর্তনের নীতি ব্যবহার করেছে। ফলে বাজারে ঋণ সরবরাহ কমে। এতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পায়। প্রশ্ন ঃ ঘ) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী সময়ে গৃহীত ব্যবস্থা পরোক্ষ হলেও কার্যকর হবে- এ বক্তব্য কতটা যথার্থ বিশ্লেষণ কর। উত্তর ঃ উদ্দীপকে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী সময়ে খোলাবাজার নীতি পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজারে বিল, বন্ড, সিকিউরিটিজ ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করে ঋণ নিয়ন্ত্রণের যে কৌশল গ্রহণ করে তাকে খোলাবাজার নীতি বলে। প্রথমে জমার হার পরিবর্তন নীতি গ্রহণ করায় তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ঋণদান সামর্থ্য কিছুটা কমেছে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক খোলাবাজার নীতি গ্রহণ করে বাজারে সুবিধাজনক শর্তে কিছু বন্ড ও বিল বাজারে ছাড়ে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যায় এবং মুদ্রাস্ফীতি রোধ হয়। তাই বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী সময়ে গৃহীত ব্যবস্থা খোলাবাজার নীতি পরোক্ষ হলেও তা ঋণ এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হবে।
×