ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাস্টমস বন্ড ব্যবস্থাপনা অটোমেশনে প্রকল্প গ্রহণ

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১২ জুন ২০১৭

কাস্টমস বন্ড ব্যবস্থাপনা অটোমেশনে প্রকল্প গ্রহণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যবসায় সময় ও খরচ কমিয়ে আনা এবং পূর্ণ স্বচ্ছতা নিয়ে আসার লক্ষ্যে সরকার কাস্টমস বন্ড ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় আনার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত সরকারি সূত্র জানায়, এই অটোমেশন পদ্ধতির আরও লক্ষ্য হচ্ছে, অবৈধ ভাবে শুল্কমুক্ত পণ্যের প্রবেশ রোধের মাধ্যমে স্থানীয় শিল্পকে অসম প্রতিযোগিতার হাত থেকে রক্ষা করা। এছাড়াও অটোমেটেড পদ্ধতিতে আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলো দেখাশোনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মামলার সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এনবিআর ২০০০ সালে রফতানিমুখী বন্ডেড ওয়্যারহাউস সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পৃথক বন্ড কমিশনারেট গঠন করে। পরে ২০১১ সালে, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বন্ড কমিশনারেটকে ঢাকা বন্ড কমিশনারেট ও চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেটে বিভক্ত করা হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার আওতায় বন্ডেড শিল্পকে সরকার বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার কর (ডিউটি) সুবিধা দিচ্ছে। এই সুবিধার আওতায় ব্যবসায়ীরা সাধারণত কাঁচামাল আমদানি করে থাকে, কিন্তু কখনো কখনো অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগের অপপ্রয়োগ করে বলে স্থানীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি সূত্র জানায়, বন্ড ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ম্যানুয়ালি থাকায় এর বিভিন্ন ফাঁকফোঁকর দূর করা সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নের এই প্রকল্প আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও আয়করসহ রাজস্ব সম্পর্কিত আয় সুরক্ষা করাও এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়া পুরনো ও নতুন তথ্য (ডকুমেন্ট) আপগ্রেড করে ডাটা আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের বন্ডেড ওয়্যারহাউসের পূর্ণ লাইসেন্স প্রক্রিয়া ও অনলাইনে আয়কর সংক্রান্ত কাজগুলো ও মাধ্যমে সম্পাদন করা হবে। ব্যস্ততার কমতি নেই লালমনিরহাটের কারু শিল্পীদের অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততার কমতি নেই লালমনিরহাটের কারু শিল্পীদের। ছোটবড় সব কারখানায় এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। নানা রঙে নতুন নতুন নকশায় পোশাক বুনে চলছেন জেলার প্রায় ৫ থেকে ৭শ’ নারী শ্রমিক। তাদের শ্রমেঘামে তৈরি পোশাক এরই মধ্যে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন বিপনী বিতানে। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা লালমনিরহাটের কালিবাড়ী এলাকার পোষাক শিল্পীদের। সকাল সন্ধ্যা এখন এমন চিত্র এখানকার সব পোশাক কারখানায়। এপলিক, কারচুপি, কাঁথা স্টিচ, রোজ স্টিচ, এমব্রয়ডারি, বাটিক, স্প্রে প্রিন্ট, জরি কিংবা পুঁতি নানা নক্সায় তৈরি হচ্ছে শাড়ি- থ্রি-পিস। ব্যস্ততা বেড়েছে চাঁদপুরে টুপি কারিগরদের অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে চাঁদপুরে টুপি কারিগরদের। বছরের অন্য সময়ে খুব একটা চাহিদা না থাকলেও, ঈদ ও রমজান ঘিরে বেড়ে যায় টুপির ব্যবহার। আর এতেই ব্যস্ততা বেড়ে দ্বিগুণ হয় কারিগরদের। যদিও, বেশকিছু সমস্যা আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। একদ- অবসরের সুযোগ নেই কারও। ঈদ ও রমজানে বাড়তি চাহিদা মেটাতে এভাবেই দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন চাঁদপুরের টুপি কারিগররা।
×