ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় টিসিবির পণ্য বিক্রি নিয়ে নয়ছয়

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১২ জুন ২০১৭

নওগাঁয় টিসিবির পণ্য বিক্রি নিয়ে নয়ছয়

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ পবিত্র রমজানে ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের মাঝে পণ্য বিক্রির কাজে নিয়োজিত নওগাঁর ৫৫ জন ডিলারের মধ্যে ৪৫ জনই টিসিবির কোন পণ্য বিক্রি করেন না। পরিবহন খরচ বেশি হওয়ার অজুহাতে এসব ডিলাররা কোন পণ্য বিক্রি করছেন না। জেলা সদরের ৭ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন। যেসব ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন না, তাদের ডিলারশিপ বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, ২০০৮ সালে জেলা থেকে কয়েকশ’ ব্যক্তি টিসিবির ডিলার নেয়ার জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের সুপারিশে ৫৫ জনকে লাইসেন্স দেয়া হয়। রাজশাহী থেকে টিসিবির পণ্য নিয়ে এসে বিক্রি করে তাদের ব্যাপক লাভও হয়। কিন্তু গত দুই বছর থেকে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ার অজুহাতে জেলার অধিকাংশ ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে জেলা সদরে মাত্র ১২শ’ কেজি চিনি, ১২শ’ লিটার সয়াবিন তেল, ১২শ’ কেজি ছোলা এবং মসুর ডাল সাড়ে ৭শ’ কেজি টিসিবির পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে। বাকি ১০ উপজেলার মধ্যে আত্রাইয়ে ৩ জন এবং মান্দায় ৪ জন ডিলার এই সামগ্রী বিক্রি করেন। সরকারী মূল্য হলো, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৮০ টাকা এবং প্রতি কেজি ছোলা ৭০ টাকা। নওগাঁ সদরের পার-নওগাঁর মেসার্স নাকিব এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার রহমত আলী ও মেসার্স সানা ট্রেডার্সের প্রোপাইটার শাহাজান আলী সানা জানান, গত বছর মাত্র একবার টিসিবির এক টন পণ্য দিয়েছিলেন। ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা দিয়ে রাজশাহী থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে নওগাঁয় নিয়ে আসা হয়। ট্রাকের ভাড়া, শ্রমিকের দাম ও রাস্তায় পুলিশের চাঁদাবাজির জন্য পরিবহন খরচ বেশি হয়। এছাড়াও টিসিবির পণ্যে ঘাটতি হয়। সব মিলিয়ে এক হাজার টাকার মতো লাভ হয়েছে। নওগাঁ সদরের মেসার্স শাওন ট্রেডার্সের প্রোপাইটার শ্যামল বিশ্বাস জানান, মাত্র ১২শ’ কেজি চিনি, ৩শ’ লিটার সয়াবিন তেল, ছোলা ১৮শ’ কেজি এবং মসুর ডাল সাড়ে ৭শ’ কেজি দিয়েছে রাজশাহী টিসিবির অফিস থেকে। পুলিশ ও বিভিন্ন স্থানে ট্রাক শ্রমিকদের হয়রানিতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
×