ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আবুল মাল আবদুল মুহিত

স্মৃতির ক্যানভাসে বন্ধু ফারুক চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১২ জুন ২০১৭

স্মৃতির ক্যানভাসে বন্ধু ফারুক চৌধুরী

বন্ধুবর ফারুক চৌধুরী ক’দিন আগে (বুধবার ১৭ মে) ৮৪ বছরে পদার্পণ করার কিছুদিন পরেই ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। দুর্ভাগ্যবশত আমি তখন ঢাকায় ছিলাম না। আমি তার মাত্র দু’দিন আগে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদানের জন্য জেদ্দাতে গিয়েছিলাম। ২০ তারিখে আমি আমার বন্ধুর জন্য অনুষ্ঠিত আজাদ মসজিদের দোয়াতে শামিল হতে সক্ষম হই। তখন থেকেই তার সম্বন্ধে বলার তাড়না আমাকে পেয়ে বসে। আজাদ মসজিদে একটি সুযোগ পাই তার আত্মার মাগফিরাত কামনা উপলক্ষে সামান্য বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে। কিন্তু বাজেট প্রণয়ন কাজের চাপে আমি আমার কথা সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেশের জনগণ ও তার বিশ্বব্যাপী বন্ধু মহলে জানানোর সুযোগ পাইনি। ২। ফারুক চৌধুরী আমার স্কুল জামানার বন্ধু। আমাদের জন্মের বছর একটা অর্থাৎ ১৯৩৪ সাল এবং সে সব সময়ই কৃতিত্ব নিয়েছে যে, সে আমার চেয়ে কয়েক দিনের বড়। ফারুকের জন্ম ২ জানুয়ারিতে আর আমার জন্ম ২৫ জানুয়ারিতে। আমার স্কুল সিলেট সরকারী পাইলট স্কুলে সে মাত্র কয়েক মাসের জন্য আমার সহপাঠী হয়- আমরা যখন দশম শ্রেণীতে পড়ি। ভারতবর্ষে স্বাধীন দু’টি দেশ প্রতিষ্ঠার কয়েক মাস পরে তার আব্বা গিয়াসউদ্দিন আহমদ সিলেটে কিছুদিনের জন্য অতিরিক্ত জেলা হাকিম হিসেবে পদায়িত হন। আসাম থেকে সেই সময়ে অনেক জেলা হাকিম মর্যাদার কর্মকর্তা বাংলাদেশে আসেন। তাদের বিভিন্ন জেলায় পদায়ন করতে পূর্ব পাকিস্তান সরকার কয়েক মাস লাগায়। তাই কয়েক মাসের মধ্যেই ফারুক চৌধুরী আমাদের স্কুল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেল। তার আব্বা সম্ভবত ময়মনসিংহ বা অন্য কোথাও জেলা হাকিম হিসেবে পদায়ন পান। এই স্বল্প সময়ে কিন্তু ফারুকের সঙ্গে বন্ধুত্বটা হয় বেশ ঘনিষ্ঠ এবং তার কারণ ছিল আমাদের পরিবারগত সংযোগ। ফারুকের আব্বা তার সময়ে একজন কৃতী ছাত্র ছিলেন এবং সম্মানসহ বিএ পাস করার পর তার সরকারী চাকরি হয়। তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি সাময়িকভাবে সুনামগঞ্জে (তখন মহকুমা ছিল) ত্রাণ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্তি পান। বছরখানেক পরই বোধ হয় তিনি আসাম সিভিল সার্ভিসে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্তি পেয়ে সুনামগঞ্জ ছেড়ে আসেন। সেই সুনামগঞ্জে পরে তিনি মহকুমা হাকিমও হন। ৩। সুনামগঞ্জে তিনি আমার পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হয়ে যান। আমার দাদা খান বাহাদুর আবদুর রহিম তখন সুনামগঞ্জে মহকুমা হাকিম ছিলেন এবং আমার আব্বা মরহুম আবু আহমদ আবদুল হাফিজ তখন মাত্র আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগ দেন। ৪। গিয়াসউদ্দিন সাহেব পরবর্তীকালে ঢাকায় অত্যন্ত খ্যাতনামা কমিশনার ছিলেন এবং সেই সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান স্পোর্টস ফেডারেশনের সভাপতি হন এবং আরও কয়েক বছর সদম্ভে উচ্চপদে বিরাজ করে ষাটের দশকের শেষ ভাগে অবসরে যান। আমি ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসি এবং সলিমুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে অবস্থান করি। আমি ইংরেজী বিভাগের ছাত্র ছিলাম। পরবর্তী বছরে ফারুক চৌধুরী ইংরেজী বিভাগে ভর্তি হলো এবং তখন থেকেই আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ফারুক চৌধুরী খেলাধুলা ভালবাসত এবং টেনিসে একজন ভাল খেলোয়াড় ছিল। আমরা টেনিস পার্টনার হিসেবে সম্ভবত ১৯৫৪ বা ১৯৫৫ সালে ডাবলস্্ চ্যাম্পিয়ন হই। বলে রাখি যে, ফারুক চৌধুরী ঢাকা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে গিয়ে একটি বছর নষ্ট করে। যাহোক, নিজের ভুল শুধরে নিতে তার সময় লাগেনি এবং সে ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্র হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। আমরা এক বিভাগের ছাত্র হিসেবে পড়াশোনার ব্যাপারেও একসঙ্গে অনেক কিছু করি। আমি লেখাপড়ার রুটিন মেনে চলতাম এবং পড়াশোনায় আমার আগ্রহ ছিল খুব বেশি। ফারুক চৌধুরী ছিল ঠিক তার উল্টো। সে খুব আড্ডাবাজ ছিল। তবে সাহিত্যে আকর্ষণ থাকায় পড়াশোনার পরিধিটা খুব ছোট ছিল না। অবশ্যি শৃঙ্খলাবদ্ধ ক্লাসের পড়াশোনায় তার আগ্রহ তত প্রবল ছিল না। ৫৫ সালে যখন তাকে অনার্স পরীক্ষা দিতে হলো তখন তার মনে হলো যে, অনার্স কোর্সে যেসব পড়ার বিষয় সেগুলোতে তার বিশেষ নজর দেয়া দরকার। এক্ষেত্রে সে আমার সাহায্য চাইল এবং আমি সানন্দে তাকে সাহায্য করতে রাজি হলাম। ফারুক চৌধুরী এবং এক সময়ের প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান দু’জনাই আমার এক ধরনের ছাত্র বনে গেল। আমার মাস্টারির কায়দা ছিল বিভিন্ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা। যেখানে তারা ছিলেন প্রশ্নকর্তা। তারা দু’জনেই আমার পড়াশোনা বিষয়ক নোটস পড়তেন এবং আলোচনা করতেন। যাহোক, তারা দু’জনেই স্নœাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন এবং জীবনের ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণ করলেন। ফারুক চৌধুরী ঠিক করলেন যে, তিনি সেই বছরেই (১৯৫৫ সালে) ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিসের পরীক্ষা দেবেন। ৫। সেই বছর ১৯৫৫ সালে ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল মাসে আমি কিছুদিন জেলে থাকি। জেলে ঠিক করলাম যে, আমি পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিসের পরীক্ষা দেব। ফারুক চৌধুরী এবং আমি দু’জনে মিলেই তাই কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষা দিতে বসলাম ডিসেম্বর মাসে। এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিপর্বে আবার ফারুক চৌধুরী আমার ছাত্রত্ব গ্রহণ করল। ফারুকের স্মৃতিশক্তি ছিল খুবই ভাল এবং আলোচনার মাধ্যমে পড়াশোনা করার ফলে তার পড়াশোনাটি হতো অত্যন্ত উচ্চ মার্গের। পরীক্ষায় আমাদের বিভিন্ন সাবজেক্ট থাকলেও আমরা দু’জনেই ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা একত্রে দিই। এই ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা ছিল ইংরেজী। এক্ষেত্রেও আমাদের প্রস্তুতি ছিল প্রায় এক রকম। পরীক্ষার ফল বেরুনোর পরে আমরা জানতে পারলাম যে, এই বিষয়ে অর্থাৎ ইংরেজীতে আমি সারা পাকিস্তানে সর্বোচ্চ নম্বর পাই এবং দ্বিতীয় নম্বরটি ছিল ফারুক চৌধুরীর। এটা আমাদের বিশেষ গর্ববোধের কারণ ছিল এবং এটা নিয়ে আমাদের পরীক্ষক, এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ড. মাহমুদ হাসানও সমভাবে গর্ববোধ করেন। ৬। আমরা দু’জনেই পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিসে নিযুক্তি পাই। ফারুক চৌধুরী পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে এবং আমি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে। ফারুক চৌধুরী প্রশিক্ষণের জন্য চলে গেলেন বোস্টনে টাফট (ঞঁভঃ) বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি গেলাম লাহোরে সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে। পরবর্তী বছরে আমি গেলাম বিলেতে অক্সফোর্ডে। সেই সময়ে সম্ভবত ক্রিসমাস ছুটিতে লন্ডনে ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে আবার মোলাকাত এবং একসঙ্গে কয়েকদিন বসবাস। আমরা লন্ডনে মোটামুটিভাবে তসনু ভাইয়ের (তোসাদ্দেক আহমদ ও, বি, ই) আখড়ায় বেশ সময় কাটাই। ৭। চাকরি জীবনে ফারুক চৌধুরী যেসব দেশে পদায়িত ছিল সেগুলোর কয়েকটিতেই আমি ভ্রমণে যাই এবং কিছুদিন একই কর্মস্থলে চাকরি করি। ফারুক যখন লন্ডনে ডেপুটি হাইকমিশনার ছিল অথবা ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাষ্ট্রদূত ছিল অথবা ভারতে রাষ্ট্রদূত ছিল, সেসব জায়গায় আমি এবং আমার স্ত্রী তার অতিথি হিসেবে একত্রে অবস্থান করি। আর ঢাকায় তো আমরা কিছুদিন সহকর্মী হিসেবে ছিলাম। ফারুক অত্যন্ত উঁচুমানের সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। জটিল অবস্থার মোকাবেলা করা এবং সবাইকে নিয়ে ভালভাবে কাজ করায় তার ছিল বিশেষ কৃতিত্ব। ঢাকায় তিনি আসলেন ১৯৮৩ সালে। তার কাজ হলো সার্ক সম্মেলনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভার আয়োজন করা। তার কাজই আমার সঙ্গে তাকে বিশেষভাবে যুক্ত করে। আমি তখন ছিলাম অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী। তার প্রথম প্রয়োজন হলো সার্ক সম্মেলন যেখানে অনুষ্ঠিত হবে সেই স্থাপনার কাজ সম্পূর্ণ করে সেখানে সভা-সমিতি অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে, অর্ধনির্মিত জাতীয় সংসদ ভবনের দফতর অথবা এমপি হোস্টেলের কোনখানে এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্থাপনাটি তখনও অর্ধনির্মিত এবং সেখানে নির্মাণকাজ সাময়িকভাবে বন্ধ। নির্মাণকাজে নিযুক্ত প্রধান প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব বড়ুয়া আমার কাছে আসলেন তাদের নির্মাণ কাজের জন্য অর্থ জোগান দেবার উদ্দেশ্যে। সেই সময়টিতে আমাদের নিজেদের রাজস্ব খুব কম ছিল এবং আমরা রাজস্ব এবং উন্নয়ন এই দু’টি খাতে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করতাম। ৮। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম যে, কনফারেন্স উপলক্ষে যে দালানগুলো ব্যবহার করা হবে তার জন্য আমার কতটা অর্থের জোগান দিতে হবে। প্রকৌশলী বড়ুয়া জানালেন যে, সেজন্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা লাগবে। আমি দেখলাম যে, এই ৩৫ কোটি টাকা আমরা পণ্য সাহায্যের যেসব সহায়তা পাই, সেখান থেকেই খুঁজে বের করতে হবে। আমরা বিভিন্ন পণ্য আমদানি করি এবং তার কিছুটা সরকারী নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয় এবং বাকিটা বাজারে বিক্রি করে সরকারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করি। সেই উপায়েই প্রকৌশলী বড়ুয়ার দাবিমতো ৩৫ কোটি টাকা আমি সরবরাহ করি। ৯। ফারুক চৌধুরী এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে মাঝে মাঝে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যেতাম। যাহোক, যথাসময়ে দালানকোঠার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হলো। সম্মেলন অনুষ্ঠানের আগেই কিন্তু আমি সরকার থেকে পদত্যাগ করি, তাই সম্মেলনটি দেখার সুযোগ আমার হয়নি। কিন্তু আমি জানতে পারি যে, সম্মেলনটি খুবই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। সম্মেলন শেষে ফারুক চৌধুরী পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে প্রায় দুই বছর ঢাকায় ছিলেন। সে ঢাকায় থাকাকালেই আমি দেশে প্রত্যাবর্তন করি এবং তখন ফারুক চৌধুরীকে এক নতুন পরিচয়ে আবিষ্কার করি। ১০। সে কৈশোর থেকেই উত্তম খাওয়া-দাওয়ার প্রতি আকৃষ্ট ছিল। গোশত পরোটা তার কাছে খুবই আকর্ষণীয় ছিল। তবে মাছ, সবজি, মিষ্টি সবকিছুই তার পছন্দের ছিল। এবারেই দেখলাম যে, খাবারেই তার আকর্ষণ নয়, বরং রান্নাতেও তার বাহাদুরি আছে। বিশেষ করে সবজি রান্নায়। জিনা ভাবী তার রান্নাঘর নিজেই দেখাশোনা করেন। তবে ফারুককে সেই ঘরে কর্তৃত্ব দিতে তিনি সবসময়ই সহায়ক ছিলেন। ঢাকার জীবন শেষে ফারুক দিল্লীতে আমাদের হাই কমিশনার হিসেবে পদায়িত হয় এবং সেখান থেকেই ১৯৯১ সালে সে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করে। তার দিল্লী অবস্থানকালে আমাদের দেখাশোনা অনেকবার হয়েছে ঢাকা এবং দিল্লীতে। দিল্লীতে যে বিষয়টি আমার কাছে খুব ভাল মনে হয়, সেটা হলো দিল্লীর প্রভাবশালী মহলের অনেক দলের, অনেক মতের এবং অনেক পেশার ব্যক্তির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। দিল্লীর চমৎকার খাওযা-দাওয়ার স্থানগুলোও ফারুক চৌধুরীর নখদর্পণে ছিল। ১১। অবসর জীবনে ফারুক চৌধুরীর আবির্ভাব হয় এক নতুন জগতে এবং নতুন পরিচয়ে। ফারুক চৌধুরী বাংলা সাপ্তাহিক “যায়যায় দিন”-এ নিয়মিতভাবে লিখতে শুরু করেন। এই কাজে তাকে উৎসাহ দিতে এবং লিপ্ত করতে তার বন্ধু শফিক রেহমান যথেষ্ট অবদান রাখেন। ফারুককে আমরা তখন দেখলাম একজন সুসাহিত্যিক হিসেবে। তিনি রম্যরচনা লেখেন চমৎকার, স্মৃতিকথা বিবৃত করেন গল্পোচ্ছলে, ভ্রমণ কাহিনী লিখেন রোমাঞ্চ সাহিত্যের মতো এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অত্যন্ত উৎকৃষ্ট বিবরণ এবং আকর্ষণীয় মন্তব্য করেন। তাছাড়াও সমসাময়িক সমাজ, রাজনীতি, প্রশাসন এবং অর্থ নিয়েও প্রবন্ধ লিখেন। এক্ষেত্রে সদ্যপ্রয়াত গাজী শাহাবুদ্দীনকে মনে পড়ে। শাহাবুদ্দীন অনেক লেখককেই লেখক হতে সাহায্য করেন। আমার মনে হয় আমার বন্ধু ফারুকের ওপরও শাহাবুদ্দীনের প্রভাব ছিল। আমাকেও নিয়মিতভাবে কলাম লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশে শাহাবুদ্দীন ছিলেন একজন উদ্যোক্তা। প্রবন্ধটা শুরু করি ফারুক চৌধুরীর প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করার জন্য। শেষ করতে গিয়ে তার সঙ্গে আবার যুক্ত করতে চাই সদ্যপ্রয়াত শাহাবুদ্দীনকেও। আমার লেখাটি শেষ করছি ফারুক চৌধুরীর লেখা এবং প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর একটি তালিকা প্রদান করে। এখানে দেখতে পাবেন যে, ২০১৪ সালেও লেখালেখির জগতে ফারুক অবদান রেখে যায়। ফারুক চৌধুরীর নাম ও প্রকাশকাল: (১) দেশ দেশান্তর - ১৯৯৪, (২) প্রিয় ফারজানা - ১৯৯৬, (৩) নানা ক্ষণ নানা কথা - ১৯৯৯, (৪) সময়ের আবর্তে - ২০০৪, (৫) স্মরণে বঙ্গবন্ধু ২০০৪, (৬) জানালায় নানা ছবি - ২০০৬, (৭) বিপন্ন পৃথিবী - ২০১০ এবং (৮) জীবনের বালুকাবেলায়- ২০১৪। লেখক : অর্থমন্ত্রী
×