স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘আমি সব সময় বৈধ কাজের পক্ষে। গত জানুয়ারিতে আমি প্রিভিউ কমিটির সদস্য হয়েছি। ৭ সদস্যের সেন্সর বোর্ড। যার মধ্যে ৩-৪ জন নিয়মিত চলচ্চিত্র দেখে ছাড়পত্র প্রদানের সাথে সরাসরি জড়িত। আমাদের শিল্পীদের তারা ভাল করেই চেনেন। এই চলচ্চিত্রটি দেখার সময় তারাও ছিলেন। এবং সকলে মিলেই ‘বস-২’ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখানে পক্ষপাতিত্বের কোন সুযোগ নেই। আর এই কমিটিতে যারা রয়েছেন, সরকার তাদের যোগ্য বলেই দায়িত্ব দিয়েছেন। এখানে জাজ বোকামির কাজ করেছে। আমাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা কেমন কথা? শনিবার জনকণ্ঠকে বললেন চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের প্রিভিউ কমিটির অন্যতম সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার। তাহলে আপনি এই বিষয়ে প্রতিবাদ করছেন না কেন? এ প্রসঙ্গে গুলজার বলেন, আগামী সপ্তাহে আমাদের মিটিংয়ে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। সেখান থেকে এই বিষয়ে কি প্রতিবাদ করা হবে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। গত বৃহস্পতিবার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া গুলজারকে সেন্সরের প্রিভিউ কমিটি থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবি তুলেছে তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেইজে একটি পোস্টের মাধ্যমে। সেই বিষয়টি কেন্দ্র করেই কথা হয় গুলজারে সাথে। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যেসব শিল্পীকে ‘বস ২’ চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে তাদের বেশিরভাগকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তারা যদি এক্সট্রা শিল্পীও হয়ে থাকে তাহলে এ চলচ্চিত্রে এরকম ভারতের এক্সট্রা শিল্পী ২০০ জন রয়েছে। আর দেখেই বোঝা যায় বাংলাদেশের লোকেশনে খুব কম কাজ হয়েছে। চলচ্চিত্রের বেশির ভাগ শূটিং ভারত ও অন্যান্য দেশে হয়েছে। এতে নুসরাত ফারিয়া ও অমিত হাসান ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য কোন চরিত্রে অভিনয় করেনি। আর প্রিভিউ কমিটিতে আমি একা ছিলাম না। সবার মতামত সাপেক্ষেই সেন্সর বোর্ডের নিকট চিঠি প্রদান করেছেন প্রিভিউ কমিটির সভাপতি ও বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ। এদিকে এর আগে বৃহস্পতিবার জাজের ফেসবুকে পেজে লেখা হয়, ‘বস ২’ চলচ্চিত্র প্রিভিউ কমিটি দেখে বলেছে, বাংলাদেশ থেকে তেমন কোন আর্টিস্ট নেয়া হয়নি। শুধু নুসরাত ফারিয়া ও অমিত হাসান ছিল। কিন্তু ‘বস ২’ চলচ্চিত্রে নুসরাত ফারিয়া, অমিত হাসান ছাড়াও অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, সুষমা সরকার, আমিন সরকার, সীমান্ত, শাহেদ আলী, দেলোয়ার, ফারুক, রাজা, কাদের, নেপালি, তাসনিয়া, জেবা, সাজিদ এবং জয়। প্রিভিউ কমিটিতে মূলত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের লোকজন থাকে আর চলচ্চিত্রের মানুষ বলতে পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার সাহেব ও প্রযোজক নাসির উদ্দিন দিলু ভাই থাকেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এদের সবাইকে নাও চিনতে পারে। কিন্তু এদের তো গুলজার সাহেবের চেনার কথা! তাহলে উনি কি চিনেও না চেনার ভান করেছেন, জাজের প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। তাহলে তো উনি নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে সরকারের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনাকে প্রিভিউ কমিটি থেকে সরিয়ে দেয়া। আবার যদি উনি সত্যি না চিনে থাকেন, তাহলে তো উনি অযোগ্য এই পদে, সেই ক্ষেত্রেও উনাকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত।
