ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাতারবাড়ি প্রকল্পের পাইপ লাইনের কাজ ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১১ জুন ২০১৭

মাতারবাড়ি প্রকল্পের পাইপ লাইনের কাজ ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে

চট্টগ্রাম অফিস/মহেশখালী সংবাদদাতা ॥ মহেশখালীর মাতারবাড়িতে যে এলএনজি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এর পাইপ লাইনের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। খনিজসম্পদ বিভাগের আওতায় জিটিসিএল (গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড) মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারী ১ হাজার ৩৯ কোটি টাকারও বেশি অর্থায়নে। সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইনের জন্য জমির দখল হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর থেকে পাইপ লাইন স্থাপনের কার্যক্রম চলছে দ্রুতগতিতে। মহেশখালী উপজেলার ৩১ কিমি. ও পেকুয়া উপজেলার ১৪ কিমি. মিলে সর্বমোট ৪৫ কিলোমিটার গ্যাস লাইন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রায় ৮৬ একর ভূমি হুকুম দখলের মাধ্যমে হুকুম দখল করে সরকার। ২০১৬ সালের নবেম্বর মাসে ভূমি হুকুমদখল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। অধিগ্রহণকৃত ভূমি মালিকদের ইতোমধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। সামান্য কিছুসংখ্যক মালিককে এখনও এ প্রক্রিযায় অর্থ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। সূত্র জানায়, মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার উত্তরে এবং ঘটিভাঙ্গার পশ্চিমে অবস্থিত চর মকবুল মৌজার জরিপবিহীন চর ভরাট জমি অকৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালার আলোকে পেট্রোবাংলার অনুকূলে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবন্তির সুপারিশ করা হলে সরকার পক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় তাতে অনুমোদন দেয়। এরপর কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এ ধরনের প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই করে যাবতীয় কার্যাদেশ সম্পন্ন করে। প্রকল্পের আওতায় ৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কাস্টডি ট্রান্সফার মিটারিং স্টেশন (সিটিএমএস) স্থাপনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। এছাড়া উপজেলার দক্ষিণে সোনাদিয়া এলাকায় অর্থাৎ পাইপ লাইন স্থাপনের প্রবেশদ্বারে একটি টার্মিনাল নির্মাণের জন্যও বিদেশী একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সূত্রমতে, এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ টার্মিনাল ও পাইপ লাইন নির্মাণের কাজ বাস্তবায়িত হওয়ার পর দৈনিক ৫শ’ মিলিয়ন মিটার ঘনফুট ওই পাইপ লাইন দিয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এতে করে দেশে বিদ্যুত ও গ্যাসের চাহিদার ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন আসবে। প্রসঙ্গত, মাতারবাড়িতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র প্রদানে ইতোমধ্যে নৌ মন্ত্রণালয়কে পত্র দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রবক্ষে সাত কিলোমিটারেরও বেশি পাইপ লাইন স্থাপন করা হবে।
×