ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সুইচ-সকেটে ব্যবহৃত পার্টসের ট্যারিফ ভ্যালু বৃদ্ধির দাবি

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১১ জুন ২০১৭

সুইচ-সকেটে ব্যবহৃত পার্টসের ট্যারিফ ভ্যালু বৃদ্ধির দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কাছে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে সুইচ-সকেট পার্টস আমদানির ক্ষেত্রে মেটাল পার্টসের জন্য আলাদা করে বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। দেশীয় শিল্প মালিকরা বলছেন, সুইচ-সকেট তৈরিতে ব্যবহৃত অন্যতম পার্টস হচ্ছে মেটাল ও প্লাস্টিক। বিদ্যমান শুল্ক ও কর নীতিতে এসব পার্টসের জন্য স্ব স্ব এইচএস কোডের বদলে ‘সুইচ-সকেট পার্টস’ নামক সাধারণ এইচএস কোড রয়েছে। ফলে মেটাল পার্টস ‘যন্ত্রাংশ’ হিসেবে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক কম অর্থাৎ প্রতিকেজি ২.৫ মার্কিন ডলার ট্যারিফ ভ্যালু দেখিয়ে আমদানি করা হচ্ছে । অথচ, দেশেই ব্রাস ও ব্রোঞ্জ শীট প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে তৈরি প্রতিকেজি মেটাল পার্টসের খরচ হয় প্রায় ৮ থেকে ১২ ডলার। ফলে, দেশীয় উদ্যোক্তারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কারণ উৎপাদনের চেয়ে আমদানিই বেশি লাভজনক। এ অবস্থায় এইচএস কোড আলাদা করে প্রকৃত মূল্যে মেটাল পার্টস আমদানি নিশ্চিত করা গেলে দেশীয় উদ্যোক্তারা প্রতিযোগীতায় সক্ষম হবে। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয় অনেক বেড়ে যাবে। এ বিষয়ে এনবিআরকে একটি লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছে ইলেকট্রিক্যাল পণ্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের সংগঠন প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড হোম এ্যাপ্লায়েন্স ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিইইএমইএ)। বিইইএমইএ’র মহাসচিব মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে সুইচ-সকেটের সম্পূর্ণ চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা রয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর। কিন্তু, এ খাতের দ্রুত ও অর্থবহ বিকাশে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সুইচ-সকেট পার্টসের বিদ্যমান শুল্ক ও কর নীতি। এর ফলে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকির সুযোগ পাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তৈরি পোশাক রফতানিতে আয় ২ হাজার ৫৬২ কোটি ডলার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাস অর্থাৎ জুলাই-মে মেয়াদে তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৬২ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবার এ খাতের পণ্য রফতানি আয় ২ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে। চলতি জুন মাসে প্রকাশিত বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়। ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে নিটওয়্যার পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১ হাজার ২৫০ কোটি ৪ লাখ ৯৪ হাজার মার্কিন ডলার। একই সময়ে ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৩১১ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিটওয়্যার পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৩৩৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই বছরের ১১ মাসে আয় হয়েছিল ১ হাজার ১৯২ কোটি ২ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আলোচ্য খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪১৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে নিটওয়্যার পণ্যে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ২৭৭ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার।
×