ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ ২১০০ সালের বদ্বীপ পরিকল্পনায় হাওড়

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১১ জুন ২০১৭

একুশ শতক ॥ ২১০০ সালের বদ্বীপ পরিকল্পনায় হাওড়

কেউ কেউ হয়ত জানেন যে, বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা নামের একটি দলিল তৈরি করছে, যার মাঝে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের হাওড় অঞ্চলের বিষয়টিও রয়েছে। গত ৪ জুন ২০১৭ সকালে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে হাওড় ব্যবস্থাপনা কৌশল নামক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের উপস্থিতিতে এই সেমিনারটি বিশেষ করে আমার জন্য জ্ঞানার্জনের একটি বড় ক্ষেত্র ছিল। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সচিব জনাব শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও তার উপস্থাপনায় সেমিনারটি হাওড় অঞ্চলের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ ছিল। হাওড় বাসিন্দা না হয়েও অনেক কর্মকর্তা অতি নিখুঁতভাবে ২০১৭ সালে হাওড়ের বিপর্যয় এবং পুরো হাওড়ের অবস্থাটি তুলে ধরেন। একজন হাওড়বাসী হিসেবে তাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বস্তুত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কেই ধন্যবাদ দিতে হবে যে হাওড়কে নিয়ে তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা চিন্তা করছেন। কিছু তথ্য : শামসুল আলমের উপস্থাপনা থেকে কিছু তথ্য এখানে তুলে ধরা যায়। তিনি জানিয়েছেন, বদ্বীপ মানে হলো পুরো বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা। এই বদ্বীপের এলাকা হলো ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। এর প্লাবন ভূমি শতকরা ৮০ ভাগ, পাহাড় শতকরা ১২ ভাগ ও সমতল বা উঁচুভূমি শতকরা ৮ ভাগ। ১৭ সালে দেশটির জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১৭ লাখ। এই ভূমির শতকরা ৬৫ ভাগ কৃষি জমি, বনভূমি শতকরা ১৭ ভাগ, নগর এলাকা শতকরা ৮ ভাগ ও জলাশয় শতকরা ১০ ভাগ। এই বদ্বীপে ৭০০ নদী আছে। ৪৭ লাখ হেক্টর জলাশয় আছে। বঙ্গোপসাগরে ১১ লাখ ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার প্রবেশাধিকার আছে। শামসুল আলম সাহেব দেশে ৬ হাজার কিলোমিটার জলপথের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি পরিবেশগত বিপর্যয়ের যে তালিকা করেছেন তাতে দুটি হাওড় সোনাদিয়া দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফ দ্বীপকে শনাক্ত করেছেন। আমি কোন কারণ খুঁজে পাইনি, কেন তিনি সুন্দরবনকে এই তালিকায় রাখেননি। কেন চলনবিল এলাকা এতে নেই বা কেন কেবল দুটি হাওড় রয়েছে। দুটি হাওড়ের যে দশা পুরো হাওড়ের তো সেই একই দশা। আমি মনে করি তালিকাটি আবার নবায়ন করা দরকার। হাওড়বিষয়ক যেসব তথ্য তিনি প্রদান করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে, দেশের সাতটি জেলা; নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১ হাজার ৬ শত ৩২ বর্গকিলোমিটার হাওড় এলাকা। তিনি এতে ৩৭৩টি হাওড়ের কথা উল্লেখ করে জনসংখ্যা মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার এবং মোট জায়গা ১৯ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর যার আবাদযোগ্য পরিমাণ ১৩ লাখ ১০ হাজার হেক্টর বলে বর্ণনা করেছেন। হাওড় এলাকা মোট জাতীয় উৎপাদনের শতকরা ৬-৮ ভাগ অবদান রাখে। দেশের চাল উৎপাদনের শতকরা ১৮ ভাগ এবং মাছ উৎপাদনের শতকরা ৭.৮ ভাগ হারে উৎপাদিত হয় বলেও তিনি জানান। হাওড়ে দেশের গবাদী পশুর শতকরা ২২ ভাগ রয়েছে এবং হাওড় এলাকায় ১৮২৯ কিলোমিটার জলপথ রয়েছে বলে শামসুল আলম সাহেব তার উপস্থাপনায় জানান। বদ্বীপ পরিকল্পনার লক্ষ্য : পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যে বদ্বীপ পরিকল্পনা করছে তাতে বড় ধরনের তিনটি লক্ষ্য হচ্ছে ক. ২০৩০ সালে চরম দারিদ্র্য না রাখা, খ. একই সময়ে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং গ. ৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়া। এগুলো বস্তুত জাতীয় লক্ষ্য। বদ্বীপ পরিকল্পনার ৬টি লক্ষ্যের মাঝে আছে বন্যা ও আবহাওয়ার পরিবর্তন থেকে সুরক্ষা পাওয়া, পানির নিরাপত্তা বিধান ও এর সুষ্ঠু ব্যবহার, নদীপথকে সমন্বিতভাবে সচল রাখা, জলাভূমি সুরক্ষা, তার পরিবেশ রক্ষা এবং এর সঠিক ব্যবহার, দেশের ও দেশের বাইরের এমন সংস্থা গড়ে তোলা যার সহায়তায় পানি সম্পদ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করা যায় এবং ভূমি ও পানি সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। বদ্বীপ পরিকল্পনার লক্ষ্য দেখে এটি বোঝা যায় যে, বস্তুত ভূমি, পানি ও প্রকৃতিই হচ্ছে এর প্রধান উপজীব্য বিষয়। আমরা সহজেই আন্দাজ করতে পারি যে, এসব প্রাকৃতিক বিষয়ের বাইরে মানুষ ও তার জীবনধারাকেও কোন না কোন পরিকল্পনায় যুক্ত করতে হবে। হাওড় এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ভিন্ন বিধায় এখানকার মানুষের বিষয়টিকেও আলাদাভাবেই বিবেচনা করতে হবে। বদ্বীপ পরিকল্পনাটির বিস্তারিত জানি না বলে সেটি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে না। তবে আমি এটি বুঝি যে, হাওড় নিয়ে একেবারে মৌলিক কিছু বিষয় সকল পরিকল্পনাকারীকেই জানানো দরকার। আমি দুটি ভাগে নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। হাওড়ের সম্পদ : হাওড় হচ্ছে গারো পাহাড়ের পাদদেশের জলাভূমি। ভৈরব সেতু পর্যন্ত বিস্তৃত এই এলাকা। এতে ভূমি আর পানি থাকায় এই দুটির সর্বোচ্চ ব্যবহার বদ্বীপ পরিকল্পনায় থাকতে হবে। ভূমির ক্ষেত্রে বড় বিষয়টি হচ্ছে, এই বিশাল আবাদযোগ্য ভূমি থেকে বিপুল পরিমাণ ফসল উৎপাদন করা। এজন্য গবেষণা করা এবং উন্নয়ন অব্কাঠামো গড়ে তোলা। হাওড়ের বর্তমান এক ফসলকে অকাল বন্যার হাত থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি, হাওড়ের বিপুল অংশকে তিন ফসলী ভূমিতে রূপান্তর করার অবকাঠামো গড়ে তোলাটা খুবই জরুরি। আমি আমার বাড়ির সামনের ছায়ার হাওড়ের দৃষ্টান্ত দিতে পারি। এই হাওড়টি শাল্লা ও খালিয়াজুরি উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত। এই হাওড়টির শশার কান্দা থেকে মামুদনগর হয়ে শ্যামপুর পর্যন্ত একটি বিশাল কান্দা আছে, যে কান্দাটিকে বেড়ি বাঁধ দিয়ে তিন ফসলী জমিতে রূপান্তর করা যেতে পারে। বস্তুত এই বাঁধটির মূল লক্ষ্য হবে হাওড়ের ঢেউয়ের হাত থেকে বাঁধের ভেতরের এলাকাটিকে রক্ষা করা। তাতে বর্ষাকালে এতে বাওয়া ধান ও মাছ চাষ করে এলাকাটির চমৎকার ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি পানি নিয়ন্ত্রণ করে এতে উচ্চ ফলনশীল ধানও চাষ করা যেতে পারে। এতে রবিশস্য এবং আমন ধানেরও চাষ হতে পারে। আমি মনে করি ৩৭৩টি হাওড়ের প্রায় সবকটিতেই এরকম উঁচু এলাকা আছে, যার অংশ বিশেষকে নিয়ন্ত্রণ করে তিন ফসলী জমিতে রূপান্তর করা যায়। অন্যদিকে হাওড়ে যে সময়টাতে মিষ্টি পানি থাকে এবং যেসব বিল বা নদীতে সারা বছর পানি থাকে তাতে মাছসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনে মাইলফলক পরিবর্তন করা যায়। এখন এটি কেবল প্রাকৃতিক নিয়মে চলছে-এটি পরিকল্পিতভাবে চলতে পারে। ভাবুন তো ১ হাজার ৬ শত ৩২ কলোমিটার মিষ্টিপানিতে যদি ৬ মাস পরিকল্পিত মাছ ও পানিতে বেড়ে ওঠে তেমন প্রাণী বা বস্তুর চাষ করা যায় তবে কি বিশাল পরিমাণ সম্পদ আমরা উৎপাদন করতে পারি। কিন্তু এখন সেই কাজটি তো হয়ই না। বরং জলমহাল ইজারার নামে বিলগুলো শুকিয়ে মা মাছ শুদ্ধ মেরে ফেলা হয়। হাওড়ের বিলগুলো মিষ্টি পানির বিশাল আধার হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। সেই মিষ্টি পানি মাছ-সব্জি-হাঁস-শামুক-মুক্তা চাষের অনন্য সুযোগ খুলে দিতে পারে। বছর জুড়ে হাওড়ের পানিতে মাছের পাশাপাশি শামুক-ঝিনুক-মুক্তা চাষ তো বটেই হাঁস-শাক-সবজি ইত্যাদির বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে দেখা যায়। এশিয়ার বৃহত্তম জলাভূমিকে এভাবে প্রকৃতির ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেবার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। অন্যদিকে প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে হাওড়ের মাটি, পানি ও প্রকৃতির দিকে তাকানো যায়। হাওড়ের মানুষ হিসেবে আমার নিজের ধারণা ঐ এলাকায় গ্যাস রয়েছে। যোগাযোগের কারণে এই এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান করা হয়নি। কিন্তু কাজটি করা উচিত। হাওড়ের প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে একটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার যে, অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ও গবেষণার মাধ্যমে এইসব সম্পদের সঠিক ব্যবহারের জন্য বদ্বীপ পরিকল্পনাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। ইতিপূর্বে হাওড় নিয়ে যে মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে তার অনেক অংশ অচল এবং ১৫৪টির প্রকল্পের বেশিরভাগই অবাস্তব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। হাওড়ে প্রেক্ষিতকে বিবেচনায় না নিয়ে কোন পরিকল্পনা করে তার সুফল জাতি পাবে না-হাওড়ের মানুষও পাবে না। হাওড়ের প্রকৃতিকে ব্যবহার করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানোর সম্ভাবনাটাকেও আমরা গুরুত্ব দিতে পারি। হাওড়ের মানুষ ও তার চ্যালেঞ্জ : হাওড়ের মানুষের প্রকৃতি নির্ভরতার চ্যালেঞ্জ ছাড়াও আছে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা। প্রকৃতি যেমনি তার ফসল গ্রাস করে, তেমনি তার বাড়ি ঘর ভেঙ্গে ফেলে। প্রকৃতি তাকে স্বাস্থ্য সেবা পেতে দেয় না। প্রকৃতি তার সন্তানকে শিক্ষাও দিতে সহায়তা করে না। মানুষের এই পশ্চাদপদতাকে অতিক্রম করার ব্যবস্থা করতে হবে। হাওড়ের প্রকৃতির আরও একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে হাওড়ের প্রচলিত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রাগৈতিহাসিক। ফলে তার জীবন ধীরগতির এবং বিশ্বের আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই। হাওড়ে কেবলমাত্র ডুবো সড়ক তৈরি করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব আনা যাবে, নাকি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন অনুসারে ওখানে ওড়াল সেতু দিয়ে হাওড়ের মানুষের জীবনে গতি আসতে পারে সেটি ভাবতে হবে। বদ্বীপ পরিকল্পনার এর কোন প্রতিফলন দেখিনি। হাওড়ের ফসল হানির যে ভয়াবহতা শত শত বছর ধরে চলছে, তার বিষয়েও নতুন ভাবনার দরকার। হাওড়ের বন্যা দেশের বাইরের বা ভারতের পানিতে হয়ে থাকে। এখনও এই পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কোন কথাই হয়নি। অন্যদিকে এর ব্যবস্থাপনার ত্রুটি দূর করা ছাড়াও হাওড় রক্ষা করার দক্ষতাও সরকারী পরিকল্পনায় নেই। অন্যদিকে একটি বড় বিষয় হচ্ছে, হাওড় এলাকা কি প্রকৃতি নির্ভর অর্থনীতিতেই সীমিত থাকবে, নাকি তার মানবসম্পদকে আমাদের জ্ঞানভিত্তিক সমাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে? আমি নিজে মনে করি, হাওড়ের মানুষকে নিয়ে ভাবতে হলে এখন এর অর্থনীতির রূপান্তরকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য হাওড়ের শিক্ষার আমূল রূপান্তর দরকার। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ হাওড়ের জীবন বদলাতে পারে। হাওড় বিষয়ে যারা কথা বলেন, তারা সচরাচর হাওড়ের প্রকৃতি এবং প্রকৃতি নির্ভরতাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আমি নিজে এর উল্টোটা ভাবি। হাওড়ের মানুষকে যদি ভিন্নভাবে সক্ষম করা না যায় এবং তারা যদি প্রকৃতির রুদ্ররোষের কাছেই জিম্মি থাকে, তবে হাওড়বাসীর চোখের কান্না কখনও থামানো যাবে না। আমি মনে করি ডিজিটাল যুগের শিক্ষা যদি হাওড়ে দেয়া যায়, তবে সেখানকার নতুন প্রজন্ম কৃষির বাইরে পা ফেলার সুযোগ পাবে। তাদের সনাতনী শিক্ষা দিয়ে আবার কৃষি নির্ভরতাতেই ফেরত পাঠানোর বিরাজমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে হাওড়ের রূপান্তর হবে না। বদলাবে না এর অর্থনীতি। হাওড়ের সনাতনী শিক্ষার দশাটি এখন আর বিরাজ করে না। ওখানকার ছেলেমেয়েরা লড়াই করে শিক্ষা গ্রহণ করে। ওদেরকে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি শেখাতে পারি-দক্ষতা তৈরি করতে পারি এবং কেবল ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করে হাওড়ে ছেলেমেয়েদের আমরা তথ্যপ্রযুক্তির কাজে সম্পৃক্ত করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে সেই বিষয়ে কারও কোন উদ্যোগ নেই। ঢাকা, ৯ জুন, ১৭ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচীর প্রণেতা ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ : www.bijoyekushe.net
×