ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তামাকবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১১ জুন ২০১৭

তামাকবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিড়ি-সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন কিছুকে দেশীয় শিল্পের মোড়কে সুরক্ষা দেয়া যাবে না। প্রস্তাবিত বাজেটে যে হারে তামাকের দাম বাড়ানো হয়েছে, তা মানুষের আয় বৃদ্ধির তুলনায় কম। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম কমছে। এর কারণ একাধিক মূল্যস্তরভিত্তিক কর প্রথা। তাই বর্তমান তামাক কর কাঠামোর পরিবর্তন করে নতুন তামাক কর নীতি প্রণয়ন করতে হবে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘তামাক কর : বাজেট প্রতিক্রিয়া ২০১৭-১৮’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ও এ্যান্টি টোবাকে মিডিয়া এ্যালায়েন্স (আত্মা) এ যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেনÑ পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সভাপত্বিত করেন জাতীয় অধ্যাপক ও জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক। সংবাদ সম্মেলনে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সত্ত্বেও প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকের কর কাঠামো সহজ করার পরিবর্তে সিগারেটের নতুন মূল্যস্তর সৃষ্টি করার মাধ্যমে কর কাঠামোকে আরও জটিল করা হয়েছে। এতে কর ফাঁকির প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। চূড়ান্ত বাজেটে এটি থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য সুস্বাস্থ্য অন্যতম শর্ত, আর এ জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরী। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা করা যাবে না। তামাকে কর বাড়াতে হবে ব্যক্তির আয়ের চেয়ে বেশি হারে। প্রস্তাবিত বাজেটে যে হারে তামাকের দাম বাড়ানো হচ্ছে তা মানুষের আয় বৃদ্ধির তুলনায় কম। তাই বর্তমান তামাক কর কাঠামো পরিবর্তন করে সিগারেটের খুচরা মূল্যের ৭০ শতাংশ, বিড়ি ও ধোঁয়াহীন তামাক পণ্যের খুচরা মূল্যের ৫০ শতাংশ সুনির্দিষ্ট কর আরোপের সুপারিশ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক। এতে বলা হয়, দাম বাড়ালে তামাকের ব্যবহার সন্তোষজনক হারে হ্রাস পাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, কর আরোপের ফলে তামাকের প্রকৃত মূল্য ১০ শতাংশ বাড়লে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে তামাকের ব্যবহার ৫ শতাংশ হ্রাস পায়।
×