কদম ফোটার দিন
আরিফ নজরুল
শিস দিয়ে যায় দোয়েল পাখি
কদম ফোটার দিন
রঙের সাঁকো রঙধনুতে
আকাশটা রঙিন।
বৃষ্টি এসে চুম দিয়ে যায়
খোকা-খুকুর ঠোঁটে
ঝিঙে মাচায় ফিঙে নাচে
ঝুমকো জবা ফোটে।
ইশকুলে যায় খোকা-খুকু
মাথায় রঙিন ছাতা
বৃষ্টি এলে দোল খেয়ে যায়
গাছের সবুজ পাতা।
** গ্রীষ্মকালের বন্ধে
জাহাঙ্গীর আলম জাহান
ঝলমলানো জোছনা রাতে
চাঁদ হতে চায় মনটা
থালার মতো চাঁদটা যেন
ইশকুলের-ই ঘণ্টা।
ঘণ্টা শুনে মনটা নাচে
চাঁদটা ডাকে আয় রে
হলুদ বরন জোছনা ছেড়ে
মন কি যেতে চায় রে?
মন ছুটে যায় বনÑবাদাড়ে
নানা ফুলের গন্ধে
চাঁদের দেশে যাবোই আমি
গ্রীষ্মকালের বন্ধে।
গ্রীষ্ম এসে মেঘের চাপায়
চাঁদকে দিল ঢেকে
জোছনা ভেজা মনটা আমার
উদাস সেদিন থেকে।
** আমার দেশ
শ্যামল রায়
আমার দেশের গাছে গাছে
হরেক রকম পাখি
মনের সুখে অভয় বুকে
করে ডাকাডাকি।
পাহাড় সাগর বন বনানী
সবুজ শ্যামল মাঠ
ঝিলের জলে শাপলা ফোটে
মুক্ত খেয়া ঘাট।
মাঠের ফসল ঘরে ঘরে
কৃষাণ মধুর হাসি
মাটির ঘ্রাণে মনে প্রাণে
দেশকে ভালবাসি।
বাংলা মায়ের রূপের শোভা
নাইকো গর্বের শেষ
ধানে-গানে ভরা আমার
সোনার বাংলা দেশ।
** বদ্যি শিয়াল
অরুণ কুমার বিশ^াস
বাঘ : হালুম-হুলুম-হালুম
ব্যথায় মরে গেলুম
ও ভাই শিয়াল দাও না খেয়াল
কাঁটার খোঁচা খেলুম।
শিয়াল : কী হয়েছে বল
বদ্যিবাড়ি চল
কষ্ট কিসের কাঁটার বিষের?
চক্ষু ছল ছল।
বাঘ : তোমার চেয়ে বদ্যি বড়
কে দেখেছে কবে?
তোমায় দিয়েই হবেÑ
জলদি কাঁটা বের করে দাও
ইনাম দেবো তবে।
শিয়াল : হুক্কা-হুয়া-হুয়া
কাঁকড়া ভরা কুয়া
চলছি রে ভাই সময় তো নাই
ডিনার খাবো গিয়া।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: