ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বর্ণ খাতের নতুন নীতিমালায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত চায় টিআইবি

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১০ জুন ২০১৭

স্বর্ণ খাতের নতুন নীতিমালায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত চায় টিআইবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বর্ণ ব্যবসায় ব্যাপক জালিয়াতি ও চোরাকারবারি-নির্ভরতার দায় সংশ্লিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও সরকারের বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে স্বর্ণ খাতের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ওপর প্রাধান্য দিয়ে অনতিবিলম্বে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বিবৃতিতে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের ঘাটতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একাংশের দায়িত্বে অবহেলা ও যোগসাজশের আড়ালে স্বর্ণ ব্যবসা খাতে দীর্ঘদিনের বিকশিত দুর্নীতি, জালিয়াতি ও চোরাকারবারি হচ্ছে। তাই সরকারকে এসব বন্ধে বাজেট বক্তৃতায় ঘোষিত স্বর্ণ খাতের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ওপর প্রাধান্য দিতে অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ত করে একটি যুগোপযোগী নীতি কাঠামো প্রস্তুত ও বাস্তবায়নে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘকাল উপেক্ষিত রাখা হলেও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত চলমান অভিযান সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সমভাবে হতে হবে। এছাড়া সম্পূর্ণ আইনী প্রক্রিয়ায় কোন প্রকার ভয় বা করুনার বশবর্তী না হয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তেমনি এসব অভিযানে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠন ও অন্য কোন মহল কর্তৃক এক্ষেত্রে কোন প্রকার বিধিবহির্ভূত বাধা প্রদান বা প্রভাব সৃষ্টি করা অযৌক্তিক, অনৈতিক ও বেআইনী। এ ধরনের তৎপরতায় লিপ্ত হওয়া প্রকারান্তরে দুর্নীতির সহায়কের ভূমিকা পালনের নামান্তর। আমরা আশা করব, উক্ত অধিদফতর তাদের অভিযানে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের যেমন পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পাবে তেমনি জুয়েলার্স সমিতিও আইনের প্রয়োগে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকবে। তিনি বলেন, সরকারকে স্বর্ণ ব্যবসার ন্যয় যাবতীয় অন্যান্য ব্যবসা খাতেও একই ধরনের আইন বহির্ভূতভাবে ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, পরিপূর্ণ, যুগোপযোগী ও বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত বিধানসহ একটি কার্যকর স্বর্ণ আমদানি ও ব্যবসা নীতিমালা প্রণীত ও প্রয়োগ হলে বাংলাদেশের জুয়েলারি ব্যবসাকে আরও বিকাশমান ও টেকসই উন্নয়নে সহায়ক শিল্পে উন্নতিকরণ সম্ভব। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্বচ্ছ বিধান ও আইনের অভাবে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অনৈতিক পন্থায় দুর্নীতি, চোরাকারবারি ও অর্থপাচার নির্ভর স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। অথচ বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ বা উদ্যোগ পরিলক্ষিত না হওয়া যেমন রহস্যজনক তেমনি জাতীয় অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকারক। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্মকর্তা এ ধরনের অবহেলা ও যোগসাজশের সঙ্গে জড়িত, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
×