ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ উপলক্ষে সৈয়দপুর রেল কারখানায় প্রস্তুত হচ্ছে ৮৫ কোচ

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১০ জুন ২০১৭

ঈদ উপলক্ষে সৈয়দপুর রেল কারখানায় প্রস্তুত হচ্ছে ৮৫ কোচ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ পশ্চিমাঞ্চল রেলের পক্ষে আসন্ন ঈদ-উল ফিতরে যাত্রীদের বাড়ি ও কর্মস্থলে যাতায়াত সহজ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য দেশের বৃহত্তম নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় যাত্রীবাহী কোচ সংস্কার করা হচ্ছে। বর্তমানে রেলওয়ে কারখানায় ৪৯টি ব্রডগেজ এবং ৩৬টি মিটার গেজ মিলে ৮৫টি কোচ মেরামত বা সংস্কার এবং নতুন রূপে রং করা হচ্ছে এবং হয়েছে। ঈদ-উল ফিতরের বিশেষ ট্রেন সার্ভিস ও বিভিন্ন রুটে চলাচলকৃত আন্তঃনগর এবং মেইল ট্রেনে এসব অতিরিক্ত রেলকোচ হিসেবে সংযোগ দেয়া হবে। ঈদের ছুটি ৭দিন আগে ও ঈদের পর ৭দিন এসব বাড়তি কোচ রেলযাত্রীদের বহনে সুবিধা দেবে। তাই এসব রেলকোচ সংস্কার বা মেরামত এবং নতুন রূপে রং করার কাজে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারখানার শ্রমিক, কর্মচারী আর কর্মকর্তারা। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি কাজ করতে হচ্ছে কারখানার ২৯টি শপের শ্রমিক-কর্মচারীদের। কেউ কোচে রং করছেন, কেউ বা ওয়েল্ডিং, কেউ আবার বৈদ্যুতিক মেরামতের কাজ করছে। কারখানা সূত্র জানায়, রমজান মাসে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা, দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিয়মিত (রুটিন কাজ) এবং বিকেল ৪টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওভারটাইম হিসেবে কাজ করে থাকেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। তাছাড়া রমজান বাদে বছরের অন্যান্য সময়ে সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেন তারা। ইতোমধ্যে ৮৫টি কোচের মধ্যে ৩৫টি কোচ মেরামত সম্পন্ন করে তা পশ্চিমাঞ্চল রেলের ট্রাফিক বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন বাকি আরো ৫০টি কোচ মেরামতের কাজ প্রায় শেষে পর্যায়ে। কারখানার (উপ-শপ) রং ঘরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ২২১ শ্রমিক প্রয়োজন, কিন্তু রয়েছে মাত্র ৬৭ জন। এদের মধ্যে চলতি বছর চারজন যাবেন অবসরে। জনবল ঘাটতি না থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কোচ মেরামত করে দেয়া যেত। কারখানার বিদ্যুত বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী মোল্লা জানান, কারখানায় মেরামত কাজ বছরের সব সময় হয়। কিন্তু ঈদের সময় বাড়তি চাপ থাকে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের রেল ভ্রমণে চাপ অনেক বেশি হওয়ায় কারখানা থেকে অতিরিক্ত কোচ মেরামত করে দিতে হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই। কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা জানান, আমরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে মেরামত করছি, কোচগুলো অবশ্যই ঈদে ঘরমুখো মানুষদের উপকারে আসবে। বিশেষ করে ঈদের সময় রেলে যে বাড়তি চাপ থাকে সেটা কমে আসবে।
×