ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের নির্মাণ খাত সুরক্ষায় এ্যাক্রিডিটেশন গুরুত্বপূর্ণ॥ ইয়াফেস

প্রকাশিত: ০৮:২৮, ৯ জুন ২০১৭

বাংলাদেশের নির্মাণ খাত সুরক্ষায় এ্যাক্রিডিটেশন গুরুত্বপূর্ণ॥ ইয়াফেস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্মাণ ও অবকাঠামো খাতে এ্যাক্রিডিটেশনের ব্যবহার বৃদ্ধি করে খাতটির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ানো সম্ভব। বহির্বিশ্ব সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশেও এ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫১ প্রতিষ্ঠানকে সনদ দেয়া হয়েছে। তারা দেশের নির্মাণসামগ্রী ও অবকাঠামো খাতের মান বজায় রাখবে। নির্মাণসামগ্রী রফতানিতেও বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা কাজে লাগাতে অবশ্যই নির্মাণসামগ্রীর মান বজায় রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘এ্যাক্রিডিটেশন : নির্মাণ এবং নির্মিত পরিবেশে আস্থা প্রকাশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে ওই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্প খাত ও এর পরিবেশ সুরক্ষায় এ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। যেহেতু ওষুধের মতো একটি পণ্য বাংলাদেশ রফতানি করতে পারে তাহলে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে রফতানি করা কোন কঠিন বিষয় হবে না। বাংলাদেশের সে সক্ষমতা রয়েছে। তিনি বলেন, বিজ্ঞান মানব জীবনের অংশ হয়ে গেছে। দেশ এমনিতে এগিয়ে যাবে। আমরা এ্যাক্রিডেটেড ফার্ম তৈরি করতে চাই। এটা যদি তৈরি করতে পারি বিশ্বের কোথাও সমস্যা হওয়ার কথা না। যেহেতু আমাদের ওষুধ বিশ্ব গ্রহণ করেছে, এটিও গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, মানবসম্পদ আছে তবে আমরা যন্ত্রপাতি দিতে পারছি না। সে লক্ষ্যেও আমরা এগিয়ে যাব। ৫১ ল্যাবকে সনদ দেয়া হয়েছে, তারাও মান বজায় রাখবে। মন্ত্রী বলেন, ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নে বাংলাদেশ বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ হবে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দেশ এভাবেই এগিয়ে যাবে। সঙ্গে দেশের নির্মাণ শিল্পও। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শফিউল বারী। তিনি বলেন, দেশে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড বা জাতীয় ভবন নির্মাণ নীতিমালার আধুনিকায়ন প্রয়োজন। ডিসিসিআই পরিচালক রাশেদুল হাসান, প্রাক্তন সহ-সভাপতি এম আবু হোরায়রাহ, প্রাক্তন পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খানসহ সরকারী- বেসরকারী প্রতিনিধিরা ওই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
×