ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাবিহা সুফিয়ান

গরমে ঢিলেঢালা পোশাক

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ৯ জুন ২০১৭

গরমে ঢিলেঢালা পোশাক

বাইরে প্রখর রোদ। গ্রীষ্ম চলে এসেছে। সূর্যের তাপ আর গরমকে ফাঁকি দিতে চাইলে এখনই বেছে নিন স্বস্তির পোশাক আর সঙ্গে আপনার সাজেও যোগ করতে হবে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া। তবে যতই আপনি সাজতে ভালবাসেন, তবু গরমকালে তো গরমের কথাটা মাথায় রাখতেই হবে। তপ্ত গরমে যখন অস্থির রাজপথ থেকে গলি। এই গরমের সময় থেকে বাঁচতে চাই সঠিক পোশাক- যা হবে ট্রেন্ডি, ফ্যাশনেবল এবং আরামদায়ক। গরমের জামাকাপড় বাছার আগে সবার আগে নজর রাখুন ফেব্রিক্সের ওপর। রেশম, জিন্সের পরিবর্তে পরুন সুতির কাপড়। সুতির পোশাকই গরমের পোশাকের প্রথম পছন্দ। দিন হোক বা রাত, গরম থেকে বাঁচতে সুতি কাপড়ের তৈরি পোশাক কিন্তু একদিকে যেমন ফ্যাশনেবল, তেমনই আরামদায়কও। টাইট পোশাকের পরিবর্তে পরুন ঢিলেঢালা পোশাক। রোদে বাইরে বেরুনোর সময় ফুলহাতা বা থ্রি কোয়ার্টার হাতার পোশাক পরুন। পোশাকের রং হিসেবে গরমে বাছুন হাল্কা রং। সাদা এ ব্যাপারে একদম পারফেক্ট। দিনের বেলা উজ্জ্বল রং না বাছাই ভাল। গরমকালে জমকালো রং একটু এড়িয়ে চলাই উচিত। পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেয়েরা গরমের সময় ক্ষেত্রে সাদা, হাল্কা গোলাপী, হাল্কা বেগুনী, হাল্কা নীল, বাদামী, আকাশী, হাল্কা হলুদ, ধূসরসহ হাল্কা রঙের পোশাকগুলো প্রাধান্য দেয়া উচিত। গরমে সাদা ও অন্যান্য হাল্কা রঙের পোশাক শুধু তাপ শোষণই করে না, সেই সঙ্গে চোখকে দেয় প্রশান্তি। দিনের বেলা উজ্জ্বল রং না বাছাই ভাল। গরমে গাঢ় রং এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। প্লাজো, লং কুর্তি, কিংবা ঢিলেঢালা কাটের পোশাক পরুন। যারা অতিরিক্ত মোটা অথবা অত্যধিক গরমে কাজ করেন, তারা সুতি কাপড়ের তৈরি সিøভলেস কামিজ ব্যবহার করতে পারেন। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির মেয়েরা যাদের প্রতিনিয়ত বাইরে যাওয়া-আসা করতে হয়, ক্লাস করতে হয়, তারা এই গরমে সুতির সালোয়ার-কামিজ এবং ফতুয়া ও জিন্স পরতে পারেন। গরমে মেয়েদের পোশাক হওয়া উচিত আরামদায়ক। খুব মোটা কাপড়ের না হয়ে পাতলা কাপড়ের হলে সব থেকে ভাল হয়। বিশেষ করে শর্ট ফতুয়া, শর্ট কামিজ, টি-শার্ট ইত্যাদি পোশাক মেয়েরা গরমের উপযোগী পোশাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। পোশাকের রং যেন এমন হয় যা থেকে ত্বকের কোন সমস্যা না হয়। আমরা বেশিরভাগ সময় পোশাকের বাইরের দিকটা দেখেই মোহে পরে যাই। কিন্তু পোশাকটি কী রং দিয়ে ডাই করা হয়েছে তা খেয়াল করি না। কোন রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, এই বিষয়গুলো নিয়ে এক্কেবারে মাথা ঘামাই না। তাই পোশাকের কোয়ালিটি, রঙে সব নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করাটা ভীষণভাবে জরুরী। খাদি কিংবা হ্যান্ডলুমের পোশাক এখন ফ্যাশন ইন। কিন্তু বাজার ছেয়ে গিয়েছে নকল রং আর নকল সুতার পোশাকে। তাই বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় পোশাকটি দু-তিনবার ধুলেই রং উঠে যায়। আবার গরমের সময় দেখা যায় ঘামে শরীরে পোশাক আটকে যায়। পোশাক খোলার পর দেখা যায় শরীরেও পোশাকের রং লেগে রয়েছে। এই রং লোমকূপ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে হতে পারে মারাত্মক চর্মরোগ। তাই গরমের সময় এমন পোশাক বাছতে হবে যেন তা ন্যাচারাল কালারে ডাই করা থাকে। যেসব পোশাক বেশি উজ্জ্বল সেগুলোতে কিছুটা হলেও রাসায়নিক রং মেশানো থাকে। তাই সুতির পোশাক কেনার সময় একটু বুঝেশুনেই কিনুন। ন্যাচারাল কালারের পোশাক, যেগুলো রঞ্জক, রিঠার মতো ভেষজ উপাদানে রং করা হয়, তেমন পোশাকেই গরমের সময় ঝলমলে হয়ে উঠুন। মেয়েরা সুতি কিংবা মসলিনে বানানো স্কার্প এ্যারাউন্ড, শর্ট কুর্তি, নি লেংথ ড্রেস, প্লাজো পরতে পারেন।
×