ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এনআইডি ছাড়া বিসিএসে অংশ নেয়া যাবে না

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৯ জুন ২০১৭

এনআইডি ছাড়া বিসিএসে অংশ নেয়া যাবে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৩৮ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আসছে চলতি মাসেই। এ পরীক্ষা থেকেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বিষয়াবলীর ২০০ নম্বরের মধ্যে থাকছে ৫০ নম্বরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রশ্ন। এদিকে এখন থেকে জতীয় পরিচিতি নম্বর (এনআইডি) ছাড়া কেউ বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আসন্ন ৩৮তম বিসিএস থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। সরকারের প্রায় প্রতিটি কাজে এনআইডি নম্বর দরকার হলেও এতদিন বিসিএস পরীক্ষার আবেদনে তা প্রয়োগ করা হয়নি। এ নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন বিভিন্ন সময়। যেহেতু পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই ১৮ বছরের ওপরে এমনকি অধিকাংশই ২২ বছরের ওপরে সেখানে এনআইডি নম্বর ছাড়াই চলছিল বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া। তবে এবার সরকারের অন্যান্য কাজের মতো বিসিএসেও লাগবে এনআইডি। বৃহস্পতিবার সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। তিনি বলেন, ৩৮তম বিসিএসের অনলাইনে আবেদন করতে বাধ্যতামূলকভাবে এনআইডি নম্বর লাগবে। একটা সিম কিনতে যদি এনআইডি লাগে, ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট করতে যদি এনআইডি লাগে, তো বিসিএস পরীক্ষা দিতে কেন আইডি নম্বর চাইব না? এতদিন যে এটা হয়নি এটাই তো বরং ভাল না। কারও এনআইডি না থাকলে কি হবে- এমন প্রশ্নে ড. সাদিক বলেন, তাহলে আমি তার পরীক্ষা নিতে পারছি না। যার আইডি নাই, আইডি সম্পর্কে যার সন্দেহ থাকবে, এটা তো একটা সমস্যা। আর ১৮ বছরের নিচের কেউ তো পরীক্ষা দিচ্ছে না। ফর্মে শুধু নাম আর ছবি লাগিয়ে আবেদন করা হয়। কেউ যদি ছবি বদলে ফেলে আপনি তো তাকে চিনতে পারবেন না। এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন যে যদি এনআইডি না থাকে? এক্ষেত্রে আমার কথা হলো কেন থাকবে না? যদি কোন বিশেষ কারণে দু’একজনের এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে তারা আবেদন করলে আমরা বসে বিবেচনা করতে পারি। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার সুযোগ পেলেন খালেদার আইনজীবীরা স্টাফ রিপোর্টার ॥ আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে এসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরা করার সুযোগ পেয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা শুরুর পর আগামী ১৫ জুন এ মামলার শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ মোঃ আখতারুজ্জামান। পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সঙ্গে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলারও শুনানি চলছে। শুনানি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় আদালত চত্বরে এসে হাজির হন এই দুই মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বিচারক গত ১ জুন এ দুই মামলায় খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৮ জুন দিন ধার্য করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনের বদলে খালেদার আইনজীবীরা এদিন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ছয় সাক্ষীকে নতুন করে জেরার আবেদন করেন। খালেদার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জমিরউদ্দিন সরকার, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সানাউল্লাহ মিয়া।
×