ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৯ জুন ২০১৭

বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা ভূয়সী প্রশংসা করলেও বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। তবে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা অভিন্ন কণ্ঠে ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি এবং সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর কঠোর সমালোচনা করেছেন। প্রথমে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সরকারী দলের পঞ্চানন বিশ্বাস, আবু জাহির, আবদুল মালেক, কাজী কেরামত আলী, আবদুল মজিদ খান, আফতাব উদ্দিন সরকার, ওয়ার্কার্স পার্টির টিপু সুলতান, ন্যাপের আমেনা আহমেদ, জাতীয় পার্টি (জেপি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, খুরশিদ আরা হক। আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারী দলের সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘জনবান্ধব ও জনকল্যাণকর’ উল্লেখ করে বলেন, এবারের বাজেটে আসলে মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। সুপ্রীমকোর্ট থেকে গ্রীক ভাস্কর্য অপসারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি সুপ্রীমকোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানো নিয়ে কেউ কেউ হেফাজতের সঙ্গে সখ্যতার কথা বলেছেন। এর আগে জামায়াতের মতো উগ্র ইসলামী দলের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপি অপরাজনীতি করেছে। তখন বেগম জিয়া রাজনীতি নিয়ে কম খেলেননি। একইভাবে হেফাজতের ধুর্তরা শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছে। তারা একটি মূর্তি সরানোর পর দেশের সব মূর্তি সরানোর দাবি জানান। তাদের এ দাবি মানা হলে দেশে মৌলবাদীদের উৎসাহিত করা হবে। সরকারের মনোবল ভাঙ্গার জন্য উগ্র মৌলবাদীরা দেশে নানা ধরনের কর্মকা- পরিচালনা করছে। দলমত নির্বিশেষে এসব ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচার না করলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মনোবল সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়বে। জাতীয় পার্টি সুনামগঞ্জের পীর ফজলুর রহমান বলেন, একটি বাজেট সাধারণত হিসাব-নিকাশের বিষয়। আবার বাজেটে একটি সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকে। এই বাজেট সম্পূর্ণ বাস্তবায়নযোগ্য কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এবারের বাজেট কেবল হিসাব-নিকাশের একটি পরিসংখ্যান মাত্র। বিশাল বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা অর্থমন্ত্রীর আছে কিনা তা দেখা দরকার। বাজেট বড় মানে এডিবিও বড়। এডিবির লক্ষ্য অর্জনে ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করতে হবে এক মাসের মধ্যে। হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে। আসলে এটা সম্ভব নয়। এতে লুটপাটের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ঘটনা নিয়ে পরে বলবেন বলে কথা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। অথচ আজ পর্যন্ত এ নিয়ে তিনি আর কোন কথা বলেননি। ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন তিনি প্রকাশ করেননি। প্রতিবছর ব্যাংক থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।
×