ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা জনতা সঞ্চয় সমিতি

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৯ জুন ২০১৭

গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা জনতা সঞ্চয় সমিতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ৮ জুন ॥ জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের ৩ কোটি টাকা নিয়ে ৩১ মে থেকে লাপাত্তা হওয়ায় পথে বসেছে ক্ষুদ্র আমানতকারীরা। জানা যায়, ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে জয়পুরহাট শহরের সবুজনগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ নামে প্রতিষ্ঠানটি একটি অফিস খুলে গ্রাহক সংগ্রহ শুরু করে। জেলার পাঁচ উপজেলা থেকেও সদস্য সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা দেড় হাজার। সদস্যদের নিকট থেকে সঞ্চয় নিয়ে কিছু ঋণ দিয়ে প্রথমে সদস্যদের বিশ্বাস স্থাপন করা হয়। এরপর এককালীন জমা রাখা টাকার ওপর উচ্চ হারে মুনাফা প্রদান করার কথা বলে লাখ লাখ টাকা আমানত হিসাবে গ্রহণ করা হয়। এখানে তিন প্রকারের হিসাবে টাকা গ্রহণ করা হয়। প্রতিদিনের সঞ্চয়, মাসিক সঞ্চয় ও এফডিআর। এ হিসাবে দেড় হাজার সদস্যের নিকট থেকে সংগ্রহ করা সঞ্চয় বা আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকা বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করছে পুলিশ। আমানতকারীদের মধ্যে রয়েছেন মাছুয়া বাজারের সদস্য চপল কুমার অধিকারী রাখেন ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। ফারুক হোসেন ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা, স্বপন সাহা ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, আলম হোসেন ৪৮ হাজার, বিকাশ চন্দ্র ৪১ হজোর, শফি ৮ হাজার ৩শ’, আব্দুল আউয়াল ৫ হাজার টাকা, স্টেডিয়াম রোডের আরিফ রহমানের ৬ লাখ টাকা। আমানতকারীরা জানান, ৩১ মে অনেক সদস্যকে টাকা দেয়ার তারিখ ছিল। অফিসে গিয়ে দেখা যায় তালা ঝুঁলানো। তখন উধাও হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় বাসার মালিক শহীদুজ্জামান বাবু সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান। সমবায় সমিতি হলেও স্থানীয় সমবায় দফতর এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। সদস্যদের অভিযোগ পাওয়ার পর সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সুলতান আলমকে আহ্বায়ক ও জেলা সমবায় অফিসের পরিদর্শক জিগার হাসারতকে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানান জেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল বারী শাহ। ডোমারে রাতের আঁধারে রাস্তা কার্পেটিং! স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ডোমার উপজেলার গোমনাতী বাজার থেকে ডাঙ্গার হাট পর্যন্ত পাকা সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতের আঁধারে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী দফতরের সঙ্গে গোপন আঁতাত থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়মের আশ্রয় নেয়। নির্মাণাধীন এ রাস্তার গোমনাতী বাজার এলাকায় বুধবার গভীর রাতে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করার সময় এলাকাবাসী জোট বেঁধে ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, রাতে করা কার্পেটিং কাজের প্রায় এক শ’ মিটার পাকা সড়কের কার্পেটিং অধিকাংশ উঠে গেছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার আব্দুর জব্বারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে ওই এলাকায় গিয়ে কাজ দেখেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×