ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ নেতা ও বিএনপি কর্মী নিহত

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৯ জুন ২০১৭

আওয়ামী লীগ নেতা ও বিএনপি কর্মী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ মুক্তাগাছা উপজেলার বিজয়পুর গ্রামে ডলার ব্যবসা নিয়ে বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোরে দুই পক্ষের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ও বিএনপিকর্মী ময়েজ উদ্দিন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে ১০ জন। এদের মধ্যে গুরুতর দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রেজাউল ও সাইফুল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দাবি করে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, জমিজমা ও ডলার ব্যবসার বিরোধসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় সূত্র জানায়, বিজয়পুর গ্রামের নিকটাত্মীয় নজরুল ইসলাম ও ময়েজ উদ্দিন পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। নজরুল ইসলাম ও ময়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় ডলার ব্যবসার মাধ্যমে প্রতারণাসহ গাছ চুরির একাধিক মামলা চলমান। বুধবার রাতে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ শাহজাহান নামে এক ডলার ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। বিএনপি কর্মী শাহজাহান ময়েজ উদ্দিনের সমর্থক। এই ঘটনায় ময়েজ উদ্দিনের পক্ষ নজরুলকে দোষারোপ করে তর্কে লিপ্ত হয়। বৃহস্পতিবার সেহরির সময়ে বাকবিগ-ার একপর্যায়ে ময়েজ উদ্দিনের কর্মী সমর্থকরা নজরুলের ওপর দা দিয়ে হামলা চালায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে নজরুল ইসলামের কর্মী সমর্থকরা ময়েজ উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দায়ের কোপে নিহত হয় নজরুল ও ময়েজ। আহত হয় অন্তত ১০ জন। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশী গ্রেফতারের ভয়ে বিজয়পুর গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। বাগেরহাটে আহত ২৫ স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট থেকে জানান, মোরেলগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ যুবলীগ, পুলিশ ও মহিলাসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একটি সালিশ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা সোহেল খান ও শামীম হাওলাদের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে থানা-পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের মেকানিক্যাল ও ডিজিটাল তথ্যসেবা কক্ষের দুটি জানালাও ভাংচুর করা হয়। দু’দফা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহতরা হচ্ছেন, ইউপ সদস্য বেলায়েত হোসেন মোল্লা, তানিয়া বেগম শিল্পী, হাফিজা বেগম, আনজিরা বেগম, যুবলীগ নেতা কবির খান, হালিম গাজী, শিমুল হাওলাদার, আব্দুল জলিল খান, মান্নান হাওলাদার, আরমান দিহিদার, নজরুল দিহিদার, শামীম হাওলাদার, আওয়ামী লীগ নেতা মালেক হাওলাদার, ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল খান, গ্রাম পুলিশ আবু বকর, শফিকুল খান ও পোলেরহাট ফাঁড়ির এসআই মাসুদ রানা। আহতদের মোরেলগঞ্জ, সাইনবোর্ড ও পিরোজপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সালথায় ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বাড়ি ও চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর বাজারে হামলার এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রামকান্তপুর বাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ বিষয়ে সালথা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জানা গেছে, এক বাড়িতে ইফতার শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলীর সমর্থকরা রামকান্তপুর বাজারে অবস্থান নিয়ে তার পক্ষে সেøাগান দিচ্ছিল। এ সময় চায়ের দোকানে অবস্থানকারী সাব্বিরের প্রতিপক্ষের সমর্থক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবাদত হোসেন পিকুল সেøাগান প্রদানকারীদের নিয়ে কটূক্তি করে। এ ঘটনার পর সাব্বির আলীর সমর্থকরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এবাদত হোসেনকে ধাওয়া। অবস্থা বেগতিক দেখে এবাদত দৌড়ে নিকটবর্তী আওয়ামী লীগ কর্মী জয়নাল মাতুব্বরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় সাব্বির চৌধুরীর সমর্থকরা জয়নাল মাতুব্বরের বাড়ি ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ হাবিব মোল্লা, আবু বক্কার মাতুব্বর ও বতু বিশ্বাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
×