ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৯ জুন ২০১৭

উবাচ

ফুটপাথ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ মওদুদ আহমেদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য দেশের সাবেক আইনমন্ত্রী। গুলশানে একটি সরকারী বাড়ি দখল করে ৩৬ বছর বসবাস করেছেন। অনেকটা নিজের পৈত্রিক ভিটার মতো। আদালতের রায়ের পর মওদুদ আহমেদকে সেই ভিটে থেকে উচ্ছেদ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। মওদুদ আহমেদ ঘটনার আকস্মিকতায় বিস্মিত হয়ে বলেছেন এখন কি ফুটপাথে গিয়ে থাকব। তার মানে কি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের ঢাকা শহরে আর থাকার জায়গা নেই। তিনি আর কোথাও থাকতে পারছেন না। কিন্তু সত্যিই কি মওদুদ আহমেদ ওই রাত্রে ফুটপাথে ছিলেন? না ছিলেন না। বুধবার বড় বাড়িটি থেকে উচ্ছেদের পর তারই গুলশান-২-এর ৫১ নম্বর সড়কে কনকর্ড প্যানারোমা নামের ৬তলা ভবনের ৫মতলায় ফ্ল্যাটে মালপত্র নেয়া হয়। নিঃসন্দেহে মওদুদ আহমেদের দখল করা প্রায় এক বিঘা ১৪ কাঠার বাড়ির তুলনায় একটি ফ্ল্যাট ফুটপাথরই মতোন। এত দিন মওদুদের দখলে থাকা বাড়িটির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানী নাগরিক মোঃ এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির (রাজউক) কাছ থেকে এক বিঘা ১৩ কাঠার এ বাড়ির মালিকানা পান এহসান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের পাশাপাশি তার স্ত্রী অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন এহসান। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। এরপর ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট মওদুদ তার ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মনজুরের নামে থাকা একটি ভুয়া আমমোক্তারনামার ভিত্তিতে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন। উচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদের জালিয়াতি ধরে ফেলায় এত কাল পরে তিনি বিপাকে পড়েন। খানিকটা বাড়িয়েছি স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে এখন সব থেকে আলোচিত বিষয় ব্যাংক আমানতের ওপর নতুন করে ধার্য কর। মোটামুটি সবখানেই এক আলোচনা। এ নিয়ে চা দোকান থেকে শুরু করে টেলিভিশন টকশো সবখানেই আলোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ছেড়েছে অনেকে ঘরেই মাটির ব্যাংকে দরকার হলে টাকা রাখবেন। তাহলে তো আর সরকার আর ব্যাংকের সার্ভিস চার্জের ঝামেলা নেই। অনেকেই বলছেন, এতে দেশের টাকা বাইরের দেশে পাচার হয়ে যাবে। দেশের বাইরের ব্যাংকে নিয়ে মানুষ টাকা রাখবে। কিন্তু যারা একেবারে প্রান্তিক ধনী তারা কি করবেন। অর্থমন্ত্রী যেখানে বলেছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় যাদের ব্যাংক হিসেবে এক লাখ টাকা থাকবে তিনিই ধনী। এসব ধনীদের কি হবে? যেসব ধনীরা ভীষণ কষ্টে টাকা বাঁচিয়ে মাসে মাসে সঞ্চয় করেন তাদের কি হবে। যারা দেশের বাইরে টাকা পাচার করে তাদের কাটাকাটির বিষয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই। অর্থমন্ত্রীর ভাষায় প্রান্তিক ধনীদের জন্যও সিদ্ধান্তের বদল হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী অবশ্য বলেই দিয়েছেন এটা আগে থেকেই ছিল। আমি করের হারটা একটু খানি বাড়িয়েছি। নির্বাচন দরকার নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে আর কোন নির্বাচন বা ভোট না হওয়ার পক্ষে জাতীয় পার্টি থেকে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত সদস্য খুরশেদ আরা হক। তিনি বলেন, দেশে ভোট হলে মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়, সংঘাত বাড়েÑ তাই দেশে ভোট না হওয়াই ভাল। আমি চাই, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকুক। জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। টেলিভিশনের টকশোতে প্রতিদিন সরকারের নিন্দা করা হয়। এরা নতুন, এদের আগে দেখা যায়নি। এরা খালেদা জিয়ার নিয়োগ দেয়া লোক। এই টকশো-ফকশো বন্ধ করুন। সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের উপস্থিতি কম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সংসদে কোন মন্ত্রী নেই। আমার বক্তব্য শোনার কেউ নেই।
×