ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

ঈদ আনন্দে বৈচিত্র্যময় পোশাকের ঘরোয়া মেলা

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৯ জুন ২০১৭

ঈদ আনন্দে বৈচিত্র্যময় পোশাকের ঘরোয়া মেলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সিয়াম-সাধনার মাস মাহে রমজান। সেই সুবাদে দরজায় কড়া নাড়ছে রাশি রাশি আনন্দ বয়ে আনা উৎসব ঈদুল ফিতর। আর এ উৎসবে আনন্দের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গটি হচ্ছেÑ নতুন পোশাক। নানা বর্ণের সঙ্গে রকমারি আঙ্গিকের পোশাকের জন্য রাজধানীবাসীর আনাগোনা এখন বিভিন্ন মাকের্টসহ নানা বিপণিবিতানে। তবে এসব মার্কেটের বাইরেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বসেছে ঈদ পোশাকের মেলা। বৃহস্পতিবার থেকে বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে শুরু হলো তিন দিনের ঘরোয়া মেলা। বৈচিত্র্যময় পোশাকসম্ভারে সাজানো এ মেলার আয়োজক অফিসার্স ক্লাব ঢাকার মহিলা কমিটি। ক্লাবের নিচতলায় ৫০টি স্টলে সজ্জিত হয়েছে এ মেলা। মহিলা উদ্যোক্তাদের এ মেলায় নারীদের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, গহনা থেকে শুরু করে পুরুষের পাঞ্জাবি, শার্টসহ ঘর সাজানো নানা পণ্যের সমাহার ঘটেছে। সকালে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অফিসার্স ক্লাব ঢাকার মহিলা কমিটির সহ-সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ইব্রাহীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সংস্কৃতি সচিব মোঃ ইব্রাহীম হোসেন খান। সভাপতিত্ব করেন মহিলা কমিটির সভানেত্রী সৈয়দা শামীমা সুলতানা আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, নারীরা সমাজে সমানতালে এগিয়ে চলছেন। তারা সব ক্ষেত্রে সাফল্য, মেধা, পরিশ্রম ও সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখছেন। এ মেলার আয়োজন একদিকে যেমন তাদের সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় বহন করছে অন্যদিকে রয়েছে তাদের সৃজনশীলতার স্বাক্ষর। এমন আয়োজন তাদের এগিয়ে চলাকে প্রাণিত করবে। মেলা প্রাঙ্গণে ঠাঁই পেয়েছে আমিনা’স নামের একটি স্টল। এখানে দেখা মেলে দেশীয় কারুকার্যময় মসলিন ও তাঁতের শাড়ি। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা আমিনা পাশা বলেন, অনেক দিন ধরেই বুটিক হাউসের ব্যবসা করছি। সারা বছর পরিচিতজনসহ অনলাইনের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি এ ধরনের মেলায় অংশ নেই এবং বেশ ভালই সাড়া পাই। এতে করে নিজের তৈরি পণ্যের পরিচিতিও বাড়ে। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়ে রং ছড়ায়ে নামের আরেকটি স্টলে। এখানে তসর, তাঁত ও জামদানির নক্সাদার শাড়ির পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন আঙ্গিকের নজরকাড়া সালোয়ার-কামিজ। নতুন গড়া এ বুটিক শপটির উদ্যোক্তা ফেরদৌসি রিতা বলেন, চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছি। এখানে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি রয়েছে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ। পুরো মেলাজুড়ে নারী-পুরুষের পোশাকের পাশাপাশি আছে কানের দুল বা ঝুমকা, হাতের চুড়ি-বালা, গলার মালা, আঙুলের আংটি, কব্জির সৌন্দর্যবর্ধক ব্রেসলেটসহ নানা ধরনের গহনার পসরা। এছাড়াও মেলায় দেখা মিলবে পাটের তৈরি ট্র্যাভেল ব্যাগ, মানিব্যাগ, টিস্যুব্যাগ, মেয়েদের পার্সসহ নানা পণ্য। কিছু স্টলে আছে বিছানার চাদর, হস্তশিল্পসহ ঘর সাজানোর রকমারি পণ্য। মহিলা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত তিনদিনের মেলা শেষ হবে শনিবার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে ক্রেতা দর্শনার্থীদের জন্য। ‘আরকাইভস ঐতিহ্যকে ধারণ করে’ আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আরকাইভস, সিটিজেনশিপ এ্যান্ড ইন্টারকালচারালিজম’। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদফতর সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেনÑ সংস্কৃতিমন্ত্রী। সেমিনারের আগে মন্ত্রী আরকাইভস চত্বরে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির আয়োজনের উদ্বোধন করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ ইব্রাহীম হোসেন খান। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আরকাইভসের পরিচালক মজিবর রহমান আল মামুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আরকাইভস ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করে, সংরক্ষণ করে। কিন্তু তা ধুলায় ধুসরিত করে রাখলে হবে না। এর সঙ্গে জনগণের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সংযোগ ঘটাতে হবে যাতে করে তারা এর মাধ্যমে সমৃদ্ধ হতে পারে, ইতিহাস ঐতিহ্যকে অন্তরে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। সংস্কৃতিমন্ত্রী আরও বলেন, নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ সরকারী দফতরের দলিল দস্তাবেজ সংরক্ষণের জন্য আরকাইভসে প্রদান করার কথা। কিন্তু কিছু দফতর ছাড়া বেশিরভাগ দফতরই তা নিয়মিত দেয় না। এগুলো দিলে আরকাইভস আরও সমৃদ্ধ হতো। তিনি সব দফতরকে আরকাইভসে ডকুমেন্ট পাঠানোর অনুরোধ করেন।
×