ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রেইন ট্রি হোটেলের ঘটনায় চার্জশীট

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৯ জুন ২০১৭

রেইন ট্রি হোটেলের ঘটনায় চার্জশীট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার দুই বন্ধুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলা দায়েরের একমাস দুই দিন পর বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি ঢাকার হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করেছেন। আগামী ১৯ জুন মামলাটির তারিখ রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ৬ মে থানায় অভিযোগ দায়েরের একমাস দুই দিন পর ঢাকার হাকিম আদালতে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হলো। এ মামলার আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ই-মেকার্স’ এর কর্মকর্তা নাঈম আশরাফ, ঢাকার পিকাসো রেস্তরাঁর অন্যতম মালিক রেগনাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী। এ বিষয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপ-কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন জানান, সাফাত ও নাঈম ধর্ষণে সরাসরি অংশ নেন। বাকি তিনজন তাদের সহযোগিতা করেন বলে চার্জশীটে অভিযোগ আনা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯-ক/৩০ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করা হয়। চার্জশীটে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। যাদের মধ্যে পুলিশ, দ্য রেইন ট্রি হোটেলের কর্মচারী, ডাক্তার, পারিপার্শ্বিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ব্যক্তি রয়েছেন। সূত্রগুলো জানায়, মামলাটি আগামী ১৯ জুন (ফিক্সড ডেট) আদালতে উপস্থাপন করা হবে। ওইদিন আদালত মামলার বিচারের জন্য নারী ও শিশু অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে। সাফাতের জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে এ মামলার অভিযোগ। ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার কথা জানালেও গাড়িচালক বিল্লাল ছাড়া বাকি চার আসামিই নিজেদের দায় স্বীকার করে হাকিমের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে বাদীপক্ষে মোট ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে বলে উপ-কমিশনার আনিসুর রহমান জানান।
×