ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে ভিড় বাড়ছে পোশাকের দোকানে

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ৯ জুন ২০১৭

রাজশাহীতে ভিড় বাড়ছে পোশাকের দোকানে

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ ঈদের কেনাকাটায় রাজশাহীর মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোয় ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিক্রেতারা বলছেন কয়েকদিন থেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। বুধবার সকালে নগরীর আরডিএ মার্কেট, নিউমার্কেটসহ কয়েকটি বিপণিবিতানে গিয়ে দেখা যায়, নানা ডিজাইনের নতুন নতুন ঈদ পোশাকে ক্রেতা আকর্ষণের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে দোকানগুলোতে। কেনাকাটা শুরু করেছেন অনেকে। বিশেষ করে মেয়েদের কেনাকাটা চলছে বেশ জোরেশোরেই। বিক্রেতারাও আশায় বুক বেঁধে ঈদের নতুন পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানে। আরডিএ মার্কেটের ঈশা ক্লথ স্টোরের মালিক হুমায়ুন কবীর বাদশা বলেন, রোজার প্রথম দিন থেকে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। জুন শুরু হওয়ার পর থেকে বাজারে পুরোদমে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। দোকানীরা জানিয়েছেন, এবারও ঈদ উপলক্ষে বাজারে ভারতীয় পোশাকের আধিক্য। তবে এবার ভারতীয় নায়িকা ও সিরিয়ালের নামে তেমন কোনো পোশাক আসেনি। এর বিপরীতে বাজার দখল করেছে কিছু পাকিস্তানি পোশাক। আর শাড়ির ক্ষেত্রে এবার দেশিই বিক্রি হচ্ছে বেশি। সব পোশাকের দাম এখন পর্যন্ত সহনশীল আছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে নিজের জন্য পোশাক কিনতে গিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যুথি তাবাসসুম বলেন, ‘সামনে ভিড় আরও বাড়বে, তখন দেখা যাবে একটা পোশাক ভালো করে দেখেও কেনার সুযোগ থাকবে না। তাই চাপ বাড়ার আগেই কেনাকাটা করতে আসলাম। শাড়ির ভূবনের নজরুল ইসলাম জানান, ঈদে এবার কাতান শাড়ি এসেছে। দেড় হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব শাড়ি। টিস্যু সিল্ক নামে ভারত থেকে একটি শাড়ি এসেছে। এটি দেড় হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুসলিন জামদানি ও টাঙ্গাইলের সিল্ক বিক্রি হচ্ছে সাড়ে চার থেকে ছয় হাজার টাকায়। দেশী বিভিন্ন শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে সর্বনি¤œ ৬৫০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায়। তবে এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে সুতির শাড়ি। এগুলো দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। নিউমার্কেটের নেক্সট কালেকশনের বিক্রয়কর্মী রানা রহমান জানান, এখানে ছোট মেয়েদের সারারা, পার্টি ফ্রক, স্কার্ট ও ডিভাইডার ও জিপসি এক হাজার ৮০০ থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছেলেদের জিনসের প্যান্ট, শার্ট ও টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায়। তরুণদের জন্য নতুন কিছু গ্যাবাডিং প্যান্ট ও শার্টও বাজারে এসেছে। এগুলো সুলভমূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলেই জানান তিনি। নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের ফড়িংয়ের মালিক মোঃ মাসুম জানান, ঈদ উপলক্ষে এবার তার দোকানে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকায়। এর মধ্যে পেঁয়াজ কটন দেড় হাজার, গৌরি আড়াই হাজার ও সুজন কুমার বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। এরই মধ্যে বেচাকেনা জমে উঠেছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে, বিক্রি আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। মাসুম বলেন, ‘১৫ রোজার পর বাজারে কেনাকাটার ধূম পড়বে। তখন হাঁটার জায়গাও পাওয়া যাবে না। মাসুমের দোকানের ক্রেতা সারোয়ার জাহান বলন, একটু আগেভাগেই কেনাকাটা করে ফেলছি এবার। শেষদিকে দাম থাকে বেশি, কাপড়ের মানও ভাল পাওয়া যায় না। তাই কিনে ফেললাম এখনই। এদিকে রাজশাহীর সপুরা এলাকায় সিল্ক হাউসগুলোতেও জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। দিনে তেমন বিক্রি না হলেও সন্ধ্যার পর থেকে এসব শোরুমে ভিড় বাড়ছে ত্রেতাদের। আগামী শুক্রবার থেকে দেদার কেনাবেচা শুরু হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
×