ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে কৃষিমন্ত্রী

৮ বছরে শুধু সারেই ৫৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ৮ জুন ২০১৭

৮ বছরে শুধু সারেই ৫৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি

সংসদ রিপোর্টার ॥ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বিগত ৮ বছরে শুধু সারেই ৫৫ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। ডিজেলে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর কৃষি উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। এর অংশ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সারের মূল্যে কৃষকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য ভর্তুকি বৃদ্ধি করে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি হয়। বর্তমানে সারের মূল্য তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় আগামী অর্থ বছরে ভর্তুকি বাড়াবার প্রয়োজন হবে না মর্মে আশা করা যায়। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে সরকার শুধু হাইব্রিড চাষাবাদের ওপর জোর দেয়নি। ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচীর মাধ্যমে হাইব্রিড ছাড়াও প্রতিকূল পরিবেশে উৎপাদনক্ষম (উফশী) জাতের বিভিন্ন ধানের আবাদ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে পাম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভোজ্যতেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে ভোজ্যতেলের চাহিদা মিটানো সম্ভব। পামওয়েলের চাষ কৃষকদের মাঝে নতুনভাবে অভিযোজন করার প্রচেষ্টা চলছে। বর্তমানে বাংলাদেশে কিছু কিছু জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে স্বল্প পরিসরে পামওয়েল চাষ হচ্ছে। আর বাংলাদেশের আবহাওয়া ও প্রকৃতি পামওয়েল চাষের উপযোগী। মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত পামের কাঁদি সাধারণত ৪০ কেজির বেশি হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে উৎপাদিত কাঁদির ওজন ৬০ কেজি থেকে ৬৫ কেজি পর্যন্ত পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে যথেষ্ট গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২ লক্ষাধিক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে সংসদ কার্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানান, সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৫৯৬ জন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ১ লাখ ৬২ হাজার ১২৫ জন, নৌবাহিনীতে ২৫ হাজার ৮১ জন ও বিমান বাহিনীতে ১৭ হাজার ৩৯০ জন। তিনি জানান, সশস্ত্র তিনটি বাহিনীর নীতি নির্ধারণী কার্যক্রম সম্পন্নের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন বা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ পরিচালিত হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে ভিশন-২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাহিনী প্রধানগণ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকারী দলের আরেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বেসামরিক পদে ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং প্রেষণে পদায়নের ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কোন সুষ্পষ্ট নীতিমালা নেই।
×