ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাওয়াই চপ্পলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ৮ জুন ২০১৭

হাওয়াই চপ্পলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গরিব ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে প্লাস্টিক ও রাবারের হাওয়াই চপ্পলের ওপর থেকে সব ধরনের ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্লাস্টিকের তৈজসপত্র এবং প্লাস্টিক রিসাইক্লিনের ওপর থেকেও আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি করেছেন এ শিল্পের উদ্যোক্তারা। অন্যথায় উদীয়মান এ শিল্পখাতটির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক এ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। সম্প্রতি বিপিজিএমইএ’র পল্টন কার্যালয়ে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের উপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। ওই সময় তিনি বলেন, দেশের গরিব মানুষ হাওয়াই চপ্পল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এই পণ্যটির উপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এ শিল্পের বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে স্থানীয় এই শিল্পে ভ্যাট প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্লাস্টিক রি-সাইক্লিংন খাত, ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল এবং প্লাস্টিক শিল্পের উৎসে কর দুই বছরের জন্য শূন্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিপিজিএমইএ’র সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক খাতের কিছু প্রস্তাব উপেক্ষিত হয়েছে। ফলে প্লাস্টিক খাতের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। বিপুল সম্ভাবনাময় দেশীয় খেলনা শিল্পে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপের ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। ইএবির বাজেট প্রতিক্রিয়া ॥ এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এই বাজেট বাস্তবায়নে একদিকে সম্ভাবনা যেমন আছে, বিপরীতে আছে বিরাজমান কঠিন বাস্তবতা। এবারের বাজেটে শিল্পকে উৎসাহিত করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-দক্ষ মানব সম্পদ গঠনে বাজেটে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদ্যুত, জ্বালানী এবং সার্বিক যোগাযোগ অবগকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা খাতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মেগা প্রকল্পগুলোকে উল্লেখযোগ্য তহবিল বরাদ্দ শিল্পে সহায়ক হবে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কর্মী বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে উন্নত মানের বাস ও মিনিবাস প্রচলনে প্রণোদনা প্রদানের স্বার্থে অবচয় পরিগণনায় বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ টাকার যে সর্বোচ্চ ক্রয় সীমা ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা এই পদক্ষেপগুলোর জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী এবং সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তবে উৎসে কর বিস্ময়ের ব্যাপার হলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বাজারে রফতানিখাতের উৎসে কর বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা নাই। বর্তমানে ১০ আগস্ট, ২০১৬ প্রকাশিত গেজেটে ১ জুলাই, ২০১৬ থেকে ৩০ জুন, ২০১৭ পর্যন্ত ০.৭০ ভাগ বলবত রয়েছে যা ১ জুলাই থেকে ১ শতাংশ হিসেবে উৎসে কর বাস্তবায়িত হবে।
×