ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশে রফতানির প্রস্তুতি

আমে ‘ব্যাগিং’ পদ্ধতির ব্যবহার

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ৮ জুন ২০১৭

আমে ‘ব্যাগিং’ পদ্ধতির ব্যবহার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৭ জুন ॥ বিদেশে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যে এই প্রথম নওগাঁর পোরশায় ও সাপাহারে ‘ব্যাগিং’ পদ্ধতিতে আম সংরক্ষণ করছেন চাষীরা। এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে গুণগত ও মানসম্মত আম উৎপাদন করে বিদেশে রফতানি করা সহজ হবে। সেই সঙ্গে এতে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োজন না হওয়ায় আম চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও তারা মনে করছেন। চীন থেকে আমদানিকৃত ব্যাগটি পোরশা উপজেলায় এই প্রথম আমে পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। এটি ব্যবহারের ফলে আম বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি আম নষ্ট কম হওয়ার পাশাপাশি ফলনও বৃদ্ধি পাবে বলে কৃষকরা জানান। পোরশা উপজেলার গবিরাকুড়ি গ্রামের আম চাষী আবদুস সবুর মাস্টার জানান, উপজেলায় এই প্রথম তিনি তার আম বাগানে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাগিং পদ্ধতি শুরু করেছেন। এ জন্য তাকে কোন বাড়তি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়নি। তিনি জানান, এ বছর ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কীটনাশকমুক্ত উৎপাদিত আমের চাহিদা ও ভাল দাম পেলে তিনি আগামী বছর তার ১০০ বিঘা জমির আমে ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করবেন। তবে তার অনুকরণে অনেক আম চাষী ব্যাগিং পদ্ধতি ইতোমধ্যেই শুরু করেছেন। সবুর মাস্টার বলেন, শত ভাগ নিরাপদ এই আমগুলো সংগ্রহের পরে ১৫-২০ দিন সংরক্ষিত করে খাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে ব্যাগিং পদ্ধতির আম বিদেশে পাঠানোর জন্য তার সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধতন কর্মকর্তা ড. শরাফউদ্দিনের কথা হয়েছে। তিনি বলেন, এ প্রযুক্তির আম যুক্তরাজ্য, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ইতালি, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান জানান, ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষের জন্য এবং এর প্রসার ঘটাতে কৃষকদের সব রকম পরামর্শ ও সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত বছর এ উপজেলা থেকে প্রায় ২ মেঃটন আম বিদেশে রফতানি করা হয়েছিল। এবারে ১০ মেঃটন ব্যাগিং পদ্ধতির আম বিভিন্ন দেশে রফতানি হবে বলে জানান তিনি।
×