ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে নারী;###;মেনহাজুল ইসলাম তারেক

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ নারী-পুরুষ মজুরি বৈষম্য

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৮ জুন ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ নারী-পুরুষ মজুরি বৈষম্য

নেপোলিয়ান বলেছেন, ‘আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।’ এই উক্তিটির মাধ্যমে একজন মায়ের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। একজন আদর্শ, শিক্ষিত মা-ই পারে একটি সুস্থ, সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ তৈরি করতে। ‘মা’ হলেন নারী জাতির অহঙ্কার। তাই নারী আজ সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। নারী আজ শুধু শিক্ষা নয়, সমাজের প্রতিটি কাজে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই দেশের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর সমান অংশগ্রহণ থাকা উচিত। আমার জানামতে কৃষি কাজে নিয়োজিত নারী-পুরুষ শ্রমিকদের কোন কার্যকর সংগঠন নেই। এক সময় ক্ষেতমজুর সংগঠন খুবই জোরদার ছিল। সেই সংগঠন এখনও আছে, তবে সুসংগঠিত নয়। কৃষক সংগঠনগুলোও সংগঠিত নয়। কাজেই বেতন বা মজুরি বৃদ্ধির দাবি এবং কৃষি সমস্যার সমাধানে সরকারী অনুকম্পাই এখন বিবেচনা পাচ্ছে। কৃষিকাজে নিয়োজিত নারী-পুরুষের শ্রম বৈষম্য নিরসনে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। নারী শ্রমিকদের একটি শক্তিশালী ওয়ার্কিং ফোর্স হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হোক। সেই সঙ্গে দূর করা হোক মজুরি বৈষম্য। তবেই না কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথ চলতে পারবেন নারী ও পুরুষ। পার্বতীপুর, দিনাজপুর থেকে
×