ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমাজসেবার অর্থ আত্মসাতের দায়ে অফিস সহকারীর কারাদ-

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৮ জুন ২০১৭

সমাজসেবার অর্থ আত্মসাতের দায়ে অফিস সহকারীর কারাদ-

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ শার্শা উপজেলা সমাজসেবা অধিদফতরের সাবেক অফিস সহকারী শহিদুল ইসলামকে আলাদা ধারায় ৮ বছর সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে একটি আদালত। শহিদুল ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ মেগুরখির্দ্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। বুধবার এক রায়ে স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ সাজা দিয়েছেন। জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম শার্শা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল। এ অফিসে ভারপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন মাখন লাল রায় এবং জেলার উপ-পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন আব্দুস সামাদ মোল্লা। শার্শা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হতো দুই কর্মকর্তার নামে। ১৯৯৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আসামি শহিদুল ইসলাম দুই কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে তিন লাখ টাকার একটি চেক সোনালী ব্যাংক শার্শা শাখায় জমা দিয়ে উত্তোলন করে। এ টাকা তিনি অফিসে জমা না দিয়ে আত্মসাত করে। এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে প্রতারণার অভিযোগে ৪ বছর সশ্রম কারাদ-, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদ- ও দুর্নীতির দায়ে ৪ বছর সশ্রম কারাদ-, ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদ-ে আদেশ দিয়েছেন। চোরাচালান মামলায় দুইজনের কারাদ- যশোরে ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় দুইজনের ৪ বছর করে সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে আদালত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আবুবক্কার নামে এক ব্যক্তিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত আনিচ বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের শমসের আলী ও শহিদুল ইসলাম হজরত আলী গাজীর ছেলে।
×