ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আপন জুয়েলার্স ছাড়াও আরও কয়েকটির বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৯:২১, ৭ জুন ২০১৭

আপন জুয়েলার্স ছাড়াও আরও কয়েকটির বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানিয়েছেন, আপন জুয়েলার্স ছাড়া বেশ কয়েকটি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শো রুম থেকে জব্দ করা সোনা গ্রাহকদের বুঝিয়ে দিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতরের নিজ কার্যালয়ে ড. মইনুল খান জানিয়েছেন, আপন জুয়েলার্স ছাড়াও অন্য সোনা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, সোনা চোরাকারবারি করে কারা ব্যবসা করছে সেটার তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ড. মইনুল খান বলেন, সবাই অবৈধভাবে সোনার ব্যবসা করছে এমনটা আমরা বলছি না। অনেকে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ও তদন্ত ছাড়া কারও বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে অভিযান চালানো হবে না। আপন জুয়েলার্স ছাড়াও অন্য সোনা ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সোনা এনে ব্যবসা করছে এমন কোন তথ্য শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, অবশ্যই আছে। আমরা এটা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের কাছে তালিকা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তদন্তে প্রমাণ পেলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব। ড. মইনুল খান বলেন, আমরা সোনা চোরাচালানের বিষয়ে জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছি। প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক সোনা জব্দও করেছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া। ধারাবাহিকতা মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সোনা চোরাচালানকে অন্যান্য অপরাধের অক্সিজেন হিসেবে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘এই সোনা চোরাচালানের সঙ্গে আরও অনেক অপরাধ জড়িত। বিভিন্ন অপরাধে অর্থায়ন থেকে শুরু করে অনেক কিছু এই চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই আমি মনে করছি সোনা চোরাচালান হলো অন্যান্য অপরাধের অক্সিজেন। আমরা এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছি। সোনা চোরাচালান বন্ধ হলে অন্যান্য অপরাধ এমনিতে কমে আসবে। ডিজি মইনুল খান জানান, আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শো রুম থেকে জব্দ করা সোনা গ্রাহকদের বুঝিয়ে দিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেবেন। মঙ্গলবার যুগ্ম কমিশনার সাফিউর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেনÑ উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন ও উপ-পরিচালক এস এম শরিফুল হাসান এবং বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) একজন ও আপন জুয়েলার্সের একজন প্রতিনিধি। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তিনি নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আপন জুয়েলার্সে বিভিন্ন সময়ে অর্ডার ও বুকিং দিয়েছেন এমন ৩৮৯ জনের তালিকা রয়েছে আমাদের কাছে। এরমধ্যে ৮৫ জনকে সোনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকিদের সোনা বুঝিয়ে দিতে ওই কমিটি করা হয়েছে। কমিটি গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
×