ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৮ সালে দেশ থেকে সকল জুলুম বিদায় নেবে ॥ খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৭ জুন ২০১৭

২০১৮ সালে দেশ থেকে সকল জুলুম বিদায় নেবে ॥ খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০১৮ সাল জনগণের বছর হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, এ বছরটিতে দেশ থেকে সকল জুলুম, অত্যাচার ও অবিচার বিদায় নেবে। আন্দোলন করে জনগণের অধিকার আদায় করা হবে। আমরা পবিত্র রমজান মাস এই দোয়া করি। মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল এলডিপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে খালেদা জিয়া বলেন, এই যে বাজেট দিয়েছে, তারা মানুষের পকেটে হাত দিয়েছে। এখন ব্যাংকে যদি ১ লাখ টাকা থাকে, তার মধ্য থেকে ৮শ’ টাকা কেটে নেবে তারা। তাহলে থাকবে কী? তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক টাকা থাকবে, যার এক লাখ টাকা আছে সে নাকি অনেক বড় লোক। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের যে ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, সেটা নাকি কিছু না। এই অবস্থা হচ্ছে দেশের অবস্থা। খালেদা জিয়া বলেন, ২০১৬ সাল ছিল আওয়ামী লীগের ব্যাংক চুরির বছর। ব্যাংকের টাকা প্রতিনিয়ত চুরি করেছে, চুরি করতে করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চুরি করেছে, ব্যাংকের টাকা চুরি করে তারা পাচার করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুণ্ঠন ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন না দেয়াকে রহস্যজনক। এ সময় তিনি দেশে নারী নির্যাতন, গুম, খুনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবস্থার কথা তুলে ধরেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, আজকে প্রত্যেকটা জিনিসপত্রের দাম বেশি। তারপরও গ্যাসের দাম প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে সরকার। এছাড়া বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, পানির দামও বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুতে নাকি দেশ জ্বলমল করবে। এখন ঢাকা শহরেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। সারাদেশ জ্বলমল নয়, অন্ধকারে ডুবে গেছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নমুনা। আর একেকটা উন্নয়ন করে, কিছু ওভার ব্রিজ-ট্রিজ যা করে তার ব্যয় কত যে বাড়ে এর কোন হিসাব নেই। তিন থেকে চার গুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে তারা এক একটা প্রকল্প করছে। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগ হস্তক্ষেপ করছে। আজকে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। মানুষ কোন ন্যায় বিচার পায় না। কারণ বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে সরকার ও আওয়ামী লীগ। এদের হাত এত লম্বা যে তারা কোথাও হাত দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। ব্যাংকিং খাতেও আজ চরম অরাজগ পরিস্থিতি চলছে। এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমেদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন এলডিপি মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ। ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ রকীব, জাগপার সভাপতি রেহানা প্রধান, এনডিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সঞ্জীব চৌধুরী, তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
×