ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

সেপ্টেম্বরে ৬ দিনব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র কর্মশালা ‘ঢাকা ডাক ল্যাব’

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৭ জুন ২০১৭

সেপ্টেম্বরে ৬ দিনব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র কর্মশালা ‘ঢাকা ডাক ল্যাব’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিল্পের ভুবনে বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে প্রামাণ্যচিত্রের কদর। এই প্রেক্ষাপটে দেশের তরুণ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাদের সৃষ্টি হয়েছে নতুন সুযোগ। বিশ্বখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাদের কাছে সরাসরি হাতে-কলমে ডকুমেন্টারি নির্মাণের কৌশল শিখবেন বাছাইকৃত তরুণ নির্মাতারা। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে ছয় দিনব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালা। বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বৈশি^ক পরিচিতি দেয়া ও দেশী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের কলাকৌশল প্রশিক্ষণ দিতে ‘প্রামাণ্যচিত্রের যৌথ প্রযোজনার কলাকৌশল ও যৌথ প্রযোজনার বাজার’ সংক্রান্ত এ কর্মশালার আয়োজক স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নতুন সংগঠন ঢাকা ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম নেটওয়ার্ক। কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। ‘ঢাকা ডক ল্যাব’ শিরোনামের কর্মশালাটি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় ৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে চলবে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ কর্মশালায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান থেকে ২৫ জন তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল চলচ্চিত্র নির্মাতা অংশগ্রহণ করবেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক আবেদনকারীদের মধ্যে ১৫ জন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে নির্বাচন করা হবে। আয়োজক কমিটি দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এই বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। বাছাইকৃত নির্মাতারা একটি করে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রকল্প জমা দেবেন, যা নানা দেশী চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞা বা মেন্টরদের মাধ্যমে উপস্থাপন উপযোগী করে তোলা হবে। এই প্রকল্পগুলোই পরবর্তীতে কর্মশালার শেষ দুই দিনের অধিবেশনে উপস্থাপন করবেন অংশগ্রহণকারীরা। চলচ্চিত্রের প্রকল্প জমা দেয়া ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার নানা দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই সমগ্র আয়োজনে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণেরও সুযোগ পাবেন। সর্বোচ্চ ১০ জন পর্যবেক্ষক এবারের আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে ঢাকা ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম নেটওয়ার্ক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান। এতে উপস্থিত ছিলেন নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী, তারেক আহমেদ, ইমরান হোসেন কিরমানী প্রমুখ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তারেক আহমেদ। নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বলেন, যে প্রকল্পগুলো মেন্টরিংয়ের সুযোগ পাবে, তারা দেশী-বিদেশী প্রযোজক, টেলিভিশন সম্প্রচারক, কমিশনিং এডিটর, চলচ্চিত্র পরিবেশক, চলচ্চিত্র বাজার বিশেষজ্ঞ এবং সিনেমায় অর্থ লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সামনে স্ক্রিপ্টসহ সামগ্রিক ধারণাপত্র উপস্থাপন করবেন। প্রতিজন নির্মাতা তার চলচ্চিত্র প্রকল্প উপস্থাপন ও প্রশ্নোত্তরের জন্য ১৫ মিনিট করে সময় পাবেন। পরবর্তীতে প্রত্যেকেই আগ্রহী টেলিভিশন সম্প্রচারক, চলচ্চিত্র পরিবেশক কিংবা অর্থ লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগ পাবেন, যাতে নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রটি নিয়ে আরও বিস্তৃত ও সুনির্দিষ্ট আলোচনা হবে। শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা প্রকল্পগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। এতে বিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, টেলিভিশন সম্প্রচারক, চলচ্চিত্র পরিবেশক এবং সিনেমায় অর্থ লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করবেন এ কর্মশালায়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছয় দিনের এ কর্মশালা দুই অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশে অংশগ্রহণকারীরা সকলেই চার থেকে পাঁচটি গ্রুপে ভাগ হয়ে ৩ দিনব্যাপী নিবিড় প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। কর্মশালার দেশী-বিদেশী মেন্টররা প্রত্যেকেই একেকটি গ্রুপে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শকের কাজ করবেন। এই আয়োজনের দ্বিতীয় ভাগেই মূলত যৌথ প্রযোজনা সংক্রান্ত পিচিং নির্মাণের উপযোগী করে তোলা হবে। কর্মশালার শেষ দিনে একটি সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা প্রকল্পগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। ইতিমধ্যেই ঢাকা ডক ল্যাবের ওয়েবসাইট (যঃঃঢ়://ফযধশধফড়পষধন.ড়ৎম/) ও ফেসবুক পেজে (যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/ফযধশধফড়পষধন/) এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেয়ার আহ্বান প্রচার করা হয়েছে। ১ জুন থেকে শুরু হওয়া প্রকল্প প্রস্তাব গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।
×