ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অনুশোচনা নেই আসাদার

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ৭ জুন ২০১৭

অনুশোচনা নেই আসাদার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে ফিগার স্কেটিংকে বিদায় বলে দিলেন জাপানের মাও আসাদা। তবে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া এই জাপানী স্কেটারের কোন অনুশোচনা নেই। এ বিষয়টি সুস্পষ্ট করেই জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ২৬ বছর বয়সী মাও আসাদা বলেন, ‘মাত্র পাঁচ বছর ধরেই ফিগার স্কেটিংয়ে যাত্রা শুরু করেছি। এই সময়ের মধ্যে পাহাড়সম বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। যেন সংগ্রাম করাটাই আমার জীবন হয়ে দাঁড়ায়। তবে ক্যারিয়ার নিয়ে আমার কোন ধরনের অনুশোচনা নেই।’ ২০১৫-১৬ মৌসুমে অনেক স্বপ্ন নিয়েই আইস ফিগার স্কেটিংয়ে ফিরেছিলেন মাও আসাদা। কিন্তু নিজেকে আর সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। গত ডিসেম্বরে জাপানের জাতীয় ফিগার স্কেটিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেও সবাইকেই হতাশ করেছেন তিনি। প্রতিযোগিতা শেষ করেছেন ১২তম অবস্থানে থেকে। এরপরই নিজের শেষ দেখে ফেলেন আসাদা। এ বিষয়ে তার অভিমত হলো, ‘সেই প্রতিযোগিতার পরই আমার মধ্যে একটা অনুভূতি কাজ করে যে, আর মনে হয় পারব না।’ আগামী বছর পিয়নচ্যাঙ অলিম্পিকেও খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল মাও আসাদার। তবে নিজের চেষ্টার কোন ত্রুটি করেননি এই জাপানী স্কেটার। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের পরও দেখলেন যে, আর পারছিলেন না তখনই অবসরের সিদ্ধান্তকে বেছে নিলেন তিনি। এ বিষয়ে মাও আসাদা বলেন, ‘পিয়নচ্যাঙ অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন ছিল আমার। এ বিষয়ে অনেকের কাছেই বলেছিলাম। কিন্তু আমি যখন আবারও প্রতিযোগিতায় ফিরি তখন সবটুকু দিয়েই চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিষয়টা কেবলই জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। আবেগের সাথে, শারীরিকভাবে কিংবা অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য কোনকিছুই যেন আমার পক্ষে আসতেছিল না।’ মাত্র পাঁচ বছর বয়সে এই ফিগার স্কেটারের তকমাটা গায়ে মেখেছিলেন তিনি। শুরুটা দুর্দো- প্রতাপে করলেও শেষটা কিন্তু তেমন স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি। হাঁটুর ইনজুরির কারণে চলতি মৌসুমেও বাজে সময় কেটেছে তার। কিন্তু চেষ্টার কোন ঘাটতি ছিল না মাও আসাদার। পাঁচ বছর বয়সের সেই ছবি এখনও যতœ করে রেখেছেন আসাদা। অতীতের সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে যেন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই জাপানী তারকা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এরপর আর দেয়ার মতো কিছুই ছিল না আমার। পাঁচ বছর বয়সে যখন ফিগার স্কেটিংয়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেই, হেলমেন্ট এবং হাঁটুতে প্যাড পড়ার একটা সেই সময়ের ছবি আমার কাছে রয়েছে। এতো দীর্ঘদিন আমি লড়াই করে গেছি, সত্যি কথা বলতে এটা ভাবতেই আমার বিস্ময় জাগে।’ ২০০৮, ২০১০ এবং ২০১৪ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপস জয় করেন আসাদা। ২০১০ ভ্যানকুভার অলিম্পিকে দক্ষিণ কোরিয়ার কিম ইউনার কাছে হেরে রৌপ্য জয় করেন। সেই আসাদাকে এখন আর পারফর্ম করতে দেখা যাবে না। এমন বড় মাপের ফিগার স্কেটারকে হারিয়ে দারুণ হতাশ ও বিস্মিত হয়েছে দেশটির সর্বস্তরের মানুষ। তবে মাও আসাদার একটা দুঃখ রয়েই গেল। কখনও অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জিততে পারেননি তিনি।
×