ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টানা তৃতীয়বার রানার্সআপ দোলেশ্বর, অধিনায়ক হিসেবে প্রথম শিরোপা নাসিরের

দোলেশ্বরের কাছে হেরেও উৎসব গাজীর

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ৭ জুন ২০১৭

দোলেশ্বরের কাছে হেরেও উৎসব গাজীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভাগ্যটা দারুণ প্রসন্ন হলো নাসির হোসেনের জন্য। এবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়কত্ব করেই শিরোপার স্বাদ নিলেন। নেতৃত্ব দিয়ে এই প্রথম দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট আসরের চ্যাম্পিয়ন হলেন। সোমবার বৃষ্টির কারণে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে গাজী-প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের বিরুদ্ধে আবাহনী লিমিটেড জিতে যাওয়ার পরই নিশ্চিত হয়ে যায় গাজীর শিরোপা। সেই শিরোপা জয়ী দলটি দোলেশ্বরের কাছে মঙ্গলবার সমাপ্ত হওয়া শেষ ম্যাচে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। তবু প্রথমবার লীগ শিরোপা জিতে উৎসবে মেতেছে গাজী। আর টানা তৃতীয়বার রানার্সআপ হলো দোলেশ্বর। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী সমান ২৪ পয়েন্ট নিয়েও তৃতীয় হয়ে শেষ করল। আগেরদিন ৫ উইকেটে ১৪২ রান তুলেছিল গাজী ৩৩ ওভার ব্যাট করে। সেখান থেকে মঙ্গলবার শেষ পর্যন্ত তারা গুটিয়ে যায় ৪৯.১ ওভারে ২২২ রানে। জহুরুল ইসলাম অমি ৮৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন। ফরহাদ রেজা ৩১ রানে ৩টি এবং আরাফাত সানি, শরীফুল্লাহ ও দেলোয়ার হোসেন ২টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল দোলেশ্বর। কিন্তু পুনিত বিস্টের ৯১ বলে ১১ চারে অপরাজিত ৮৯, শরীফুল্লাহর ৭৮ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৫১ এবং মার্শাল আইয়ুবের ৫৪ বলে ৪ চারে ৩৯ রানের সুবাদে ৩৩ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেয় দোলেশ্বর। ৪৪.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৪ রান করে তারা। দোলেশ্বরের জয়ে তাদের এবং গাজী ও আবাহনীর পয়েন্ট সমান ২৪ হয়ে গেছে। কিন্তু তিনদলের মধ্যে পরস্পরের মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বাধিক ৩ জয় গাজীর। তাই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর ২ জয় নিয়ে দোলেশ্বর রানার্সআপ এবং ১ জয়ে তৃতীয় আবাহনী। ২০১৩-১৪ মৌসুমে গাজী ট্যাঙ্ক নামে খেলা গাজী গ্রুপ আরেকবার শিরোপা জিতেছিল। তবে নতুন নামে এটাই প্রথম তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ। অপর স্থগিত ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৪৯.৪ ওভারে ২১৫ রানে গুটিয়ে যায়। নাজমুল মিলন ৫৩ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। পেসার আল আমিন হোসেন ৩৫ রানে নেন ৪ উইকেট। জবাবে ২৪ রাানে দুই উইকেট এবং ওপেনার মেহেদি মারুফ ৬৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়লেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি দোলেশ্বরের। কারণ রাফাতুল্লাহ মোহাম্মদ ১২৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। ৪৩.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৬ রান তুলে ৬ উইকেটের বড় জয় পায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এবার লীগে ব্যাট হাতে সেরা হয়েছেন আবাহনীর ওপেনার লিটন কুমার দাস। তিনি ৭৫২ রান করেছেন। আর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাস গড়েছেন মোহামেডানের রকিবুল হাসান। আবাহনীর বিরুদ্ধে তিনি ১৩৮ বলে ১৯০ রানের ইনিংস খেলেন। বোলিংয়ে সেরা হয়েছেন তরুণ পেসার চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপের আবু হায়দার রনি। ৩৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে সেরা বোলিং নৈপুণ্য খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির তরুণ তানভির ইসলামের। তিনি পারটেক্স স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ১৮ রানে নেন ৬ উইকেট।
×