ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাকিব আল হাসান

নিউজিল্যান্ডকে হারাতে চেষ্টা করব

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৭ জুন ২০১৭

নিউজিল্যান্ডকে হারাতে চেষ্টা করব

স্পোর্টস রিপোর্টার, লন্ডন থেকে ॥ সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ মিলেছে। তবে এরজন্য ইংল্যান্ডকে সব ম্যাচ জিততে হবে। বাংলাদেশকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হবে। তাহলেই সেমিতে খেলা হয়ে যায় বাংলাদেশের। কিন্তু তা কী সম্ভব? নিউজিল্যান্ডেেক হারানো সম্ভব? বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বললেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে নেক্সট (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে) ম্যাচ জেতা। আমরা চেষ্টা করব আমাদের ম্যাচটা জিততে।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়াতে এখনও টুর্নামেন্টে টিকে আছে বাংলাদেশ। এমনকি সেমিফাইনালেও খেলতে পারে। কিন্তু এখনও ঘুরে ফিরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে যে এত বাজে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। সেটিই সবার সামনে আসছে। সাকিব যে ২৯ রান করে আউট হলেন, সেখানেই বাংলাদেশ দল পিছিয়ে পড়ল। কিন্তু এলবিডাবলিউ যে হয়েছেন সেটিও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভরা। তাই সাকিবের সামনে প্রশ্নও ছুড়ে গেল, আউট হওয়া নিয়ে আনলাকি কি না? সাকিব জানালেন, ‘সাধারণত এ রকম হয় না। এখন আম্পায়ার দিছে। মনে করছে আউট। এখানে তো বলার নেই। সাধারণত এ রকম হয় না ব্যাটসম্যাস এগিয়ে আসলে। আমি দেখিনি এখন পর্যন্ত। দেখা যাক শুরু হলো। হোপফুলি এ রকম কনসিস্টেন্সি থাকলে ভাল। আউট তো যে কোন আউটই হতাশার। এখন আসলে এটা নিয়ে বললে কোন লাভ নেই। ফিরে আসবে না। যেটা চলে গেছে চলে গেছে।’ বড় ইনিংস গড়ার জন্য ৭ বা ৮ জন ব্যাটসম্যান এনাফ? সাকিব জানান, ‘আমার কাছে নরমালি মনে হয় ওয়ানডেতে ৭ জন ব্যাটসম্যান ও ৪ জন বোলার থাকে। একজন থাকে অলরাউন্ডার। বেশিরভাগ দলেই এ রকম। আমার কাছে মনে হয় কম্বিনেশন বেটার ছিল। যদি ম্যাচ জিততে চাই। কিংবা ম্যাচ জেতার চিন্তা করি তাহলে আমি যদি আরেকটু থাকতে পারতাম, প্রতিদিন তো আর সবার ব্যাটিং ভাল হবে না। যাদের ব্যাটিং ভাল হবে তারা যদি ইনিংস বড় করতে পারে, সেটা ইম্পর্টেন্ট। আমি যদি থাকতে পারতাম। তাহলে রান ২৬০ রানের মতো সম্ভাবনা ছিল। সেটা হলে উইকেটটা ডিফারেন্ট ছিল। আগেরদিনের মতো ৩২০/৩৩০ হওয়ার মতো উইকেট না। বল উঠা-নামা করতে ছিল। প্লাস ওভার কাস্ট কন্ডিশনের কারণে মুভমেন্টও ছিল। হয়তো ডিফারেন্ট গেমও হতো যদি আমি ঔ সময় থাকতাম। তাহলে তামিমও আরও ফ্রিলি খেলতে পারতো। আরও বেশি রান হওয়ার চান্স থাকত।’ বাংলাদেশের সবাই কি এখন ইংল্যান্ডের সাপোর্টার? যেহেতু ইংল্যান্ড সব ম্যাচ জিতলে এরপর নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশ হারালেই মাশরাফিরা সেমিফাইনালে উঠবে? সাকিব বলেন, ‘ইংল্যান্ড আরও দুইটা জিতলে, আরও অপশন আছে। নিউজিল্যান্ড জিতলেও চান্স আছে। সো অপশন অনেকেরই আছে। আমাদের কাজ হচ্ছে নেক্সট ম্যাচ আমাদের জেতা। তা নাহলে কোন অপশনেই কাজ হবে না। আমরা চেষ্টা করব আমাদের ম্যাচটা জেতা। আমরা ফরচুনেট। অস্ট্রেলিয়া আনফরচুনেট। আমাদের এখনও চান্স থেকে গেল। এখানে আসলে কারও কোন হাত নেই। সো হোপফুলি এই লাকটাই আমাদের কাজে আসবে।’ সেমিতে যেতে হলে যে দলকে হারাতে হবে সে দলকেই আমরা মাত্রই হারিয়েছি আমরা এদিক দিয়ে ফরচুনেট? সাকিব জানান, ‘আসলে আমরা ওদের সাথে অনেক ম্যাচও খেলেছি। স্বাভাবিকভাবে মেন্টাল একটা প্রিপারেশন বা সবদিক দিয়ে ইউজটু থাকা যায়। কারণ আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেললাম ছয় বছর পর। বেশিরভাগ প্লেয়ারই খেলেনি। আমরা ৪/৫ জন বাদে কেউ খেলেনি। আমি জানি আমি যখন প্রথম খেলি তখন আমার ফিলিংস কেমন ছিল। যারা নতুন তাদেরও এ রকম ফিলিংস থাকবে।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আপনার নিজেরও রেকর্ড দারুণ। এটা কোন ইন্সপায়ারেশন করবে কিনা? সাকিব বলেছেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে খেলাটাই ইন্সপায়ারেশন। চেষ্টা থাকবে ভাল করার। সবাইকে টিম হিসেবে ভাল করতে হবে। ম্যাচ জিততে হলে। একজন দুইজনের পারফর্সেন্সে আমরা ম্যাচ জিতে গেলে সে রকম দল আসলে কখনও ছিলাম না। সো এটলিস্ট ৫/৬ জন আমরা কন্ট্রিবিউট করতে পারি আমার মনে হয় তখনই আমরা ম্যাচ জিতব।’ অস্ট্রেলিয়ার এ্যাটাক এই আসরে বেস্টÑ আপনি কি এগ্রি? সাকিব একমত নন, ‘বেস্ট আসলে এটা বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয়েছে। ওই টাইমে যদি আমি আর তামিম আরও কিছু সময় ব্যাটিং করতে পারতাম তাহলে আর মনে হতো না বেস্ট বোলিং এ্যাটাক। ওদের কোয়ালিটি ফাস্ট বোলার আছে। ওদের গ্যাপগুলো আছে যেখানে রান করতে পারবে।’ সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচশেষে তামিমকে নিয়ে জানালেন সাকিব, ‘আমার মনে হয় অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। এই ম্যাচ না দুইটা ম্যাচেই। বেশ কিছুদিন ধরেই কনসিসটেন্সি পারফর্মার। আশাকরি নেক্সটা ম্যাচটাও এভাবেও ভাল করবে। ভাল সময় যাচ্ছে। আমি চাই যতদিন পারে যতদূর পারে টেনে নিয়ে যাক। আমরা যারা আছি তারাও যেন পারফরম করতে পারি, যাতে দল ভাল করতে পারে।’
×