বি.এস.এস,বি-এড
সিনিয়র শিক্ষক
কানকিরহাট বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, সেনবাগ, নোয়াখালী।
পরীক্ষকঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা।
মোবাইলঃ ০১৭১৮৮৬৩০৪৫
প্রথম অধ্যায়- নিম্ন শ্রেণির জীব
সৃজনশীল প্রশ্ন
সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।
উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
তালহা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছে। তার বাবা তাকে হাঁচি ও কাঁশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করতে বললেন।
ক.ভাইরাস কী?
খ. ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয় কেন?
গ. তালহাকে রুমাল ব্যবহার করতে বলার কারণ ব্যাখ্যা কর?
ঘ.তালহা রোগটি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্যদের কীভাবে সচেতন করবে? ব্যাখ্যা কর।
ক.ভাইরাস হল নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত অতিক্ষুদ্র অকোষীয় সরলতম জীব। এটি শুধু জীবিত কোষেই জীবনের সব লক্ষণ প্রকাশ করে।
খ. ভাইরাস দেহে কোষপ্রাচীর, প্লাজমালেমা, সুগঠিত নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই না থাকার কারণে ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয়। এটি শুধু প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক এসিড নিয়ে গঠিত।
গ। উদ্দীপক হতে দেখা যায়, তালহা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আ্ক্রান্ত। এটি ভাইরাস জনিত ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগে আক্রান্ত রোগী প্রচন্ড জ্বর, সর্দি,হাঁচি ও কাঁশিতে ভোগে। ফলে বারবার সর্দি, হাঁচি ও কাঁশি হয় এবং হাঁচি ও কাঁশির মাধ্যমে এই রোগের ভাইরাস সুস্থ দেহে প্রবেশ করে।
তালহার হাঁচি, কাঁশি থেকে রোগের জীবাণুটি পরিবারের অন্য যেকোনো সুস্থ সদস্যের দেহে প্রবেশ করতে পারে এবং তারাও ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হতে পারে।
তাই তালহার হাঁচি, কাঁশির মাধ্যমে যাতে অন্য কারও শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তালহার বাবা সচেতনভাবেই তালহাকে রুমাল ব্যবহার করতে বললেন।
ঘ. ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস জনিত ছোঁয়াছে রোগ হওয়ায় সহজে একজন থেকে অন্য জনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্যদের সচেতন করতে তালহা নিম্নলিখিত পরামর্শগুলো দিতে পারে...
* হাঁচি-কাঁশির সময় মুখে রুমাল ব্যবহার করার উপকারীতা সম্পর্কে জানাবে।
* যেখানে সেখানে থুথু-কফ না ফেলার পরামর্শ দিবে।
* নিরাপদ পানি পান ও ব্যবহার করার গুরুত্ব বোঝাবে।
* স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবে।
* মলত্যাগের পর ও খাওয়ার আগে সাবান অথবা ছাঁই দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিবে।
ক্স আক্রান্ত ব্যক্তিকে উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শমতো ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিবে।